প্রতীকী ছবি।
লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করেছিলেন গত ১৫ অগস্ট। আজ বৈঠকে বসে জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্পে প্রত্যেক দেশবাসীর স্বাস্থ্য কার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই কার্ড হলে দেশের মানুষ বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন।”
এই কার্ডের সঙ্গে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য যুক্ত থাকবে। এবং তা সংগ্রহের কাজও চলছে। কিন্তু বিরোধীরা সেই তথ্য বেহাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। কারণ, সরকার এখনও তথ্য সুরক্ষা আইন পাশ করাতে পারেনি। ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের নীতি ও নিয়ম-কানুনও ছাড়পত্র পায়নি সংসদের। বিরোধীদের তাই দাবি, জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের নিয়মকানুন ও তথ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ হওয়ার পরেই যেন বাকি দেশবাসীর স্বাস্থ্য-তথ্য সংগ্রহে হাত দেয় সরকার।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে ছ’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অন্তত ১১.৯ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য কার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই কার্ডের মাধ্যমে ১৪৯০ ধরনের পরিষবা মিলবে। ওই কার্ড থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিকনসালটেশন করা যাবে ও নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সুবিধেও মিলবে। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, এই এত মানুষের তথ্য যে অসাধু হাতে পড়ে বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে না, বা হবে না, তার নিশ্চিয়তা কোথায়?
কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “আধারের ক্ষেত্রে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের তথ্য চুরি হয়েছে সম্প্রতি। এ ক্ষেত্রেও যে তা হবে না, তার ভরসা কোথায়?”