ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন মণিপুরের রাজ্যপাল। ছবি— পিটিআই।
মণিপুরে অশান্তির পিছনে ইন্ধন থাকতে পারে অনুপ্রবেশকারীদের। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সুরেই দাবি করলেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকে। মে মাসের শুরু থেকে অশান্তি চলছে মণিপুরে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ দাবি করেছিলেন, সীমান্ত পেরিয়ে আসা লোকজনের কারণেই মণিপুর অশান্ত। এ বার সেই সুরে সুর মিলে গেল রাজ্যপালেরও।
মণিপুরের সঙ্গে সীমানা রয়েছে অসম, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডের। কিন্তু রাজ্যপাল সম্ভবত রাজ্যের সীমানার কথা বলতে চাননি। তাঁর ইঙ্গিত ছিল ভারত-মায়ানমার সীমান্তের দিকে। যে মায়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। শুক্রবার মণিপুরের রাজভবন থেকে রাজ্যপালের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘‘রাজ্যপাল গোয়েন্দাসূত্রে খবর পেয়েছেন, কিছু দেশবিরোধী লোক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে মণিপুরে অশান্তি ছড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে।’’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইম্ফল ইস্ট জেলায় একটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্যপাল অনুসুইয়া ইঙ্গিত করেন, মণিপুরে হিংসার পিছনে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসা লোকজনের ইন্ধন থাকতে পারে। রাজ্যপাল অনুসুইয়ার এই বক্তব্যের সঙ্গে কিছু দিন আগেই বলা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর কথার মিল পাচ্ছেন অনেকে। বীরেন সিংহ সরকার শুরু থেকেই দাবি করছেন, মণিপুরে বেআইনি ভাবে মায়ানমার থেকে যে মানুষ ঢুকছেন, তাঁরাই অরণ্যের জমি জবরদখল করে বসছেন এবং রাজ্যে জাতিগত গোলমালের পিছনেও তাঁদেরই হাত।
গত ৩ মে থেকে মণিপুরে শুরু হওয়া হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন কম করে ৬০ হাজার মানুষ। সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু কিছুতেই অশান্তি থামানো যাচ্ছে না।