coronavirus

দেশে ক্রমশ কমছে দৈনিক সংক্রমণ, ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করছে বহু রাজ্য

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা আজ জানিয়েছেন, লকডাউন না বাড়াতে চাইলে রাজ্যবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ০৫:২৯
Share:

—ফাইল চিত্র

আরও কমল সংক্রমণ। গত ৪৮ দিনে দেশে দৈনিক সংক্রমণ সর্বনিম্ন ছিল শনিবার (১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৯০)। অধিকাংশ রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়ায় ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে প্রশাসন। তবে তা অবশ্যই ধাপে ধাপে। যেমন, পুণেতে গত পাঁচ দিন একটানা দৈনিক আক্রান্ত ছিল ৩ হাজারের কম। পজ়িটিভিটির হার নেমে গিয়েছে ১০ শতাংশের নীচে। ফলে শহরটিতে সপ্তাহান্তে যে লকডাউন চলছিল তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তা ছাড়া, গোটা সপ্তাহজুড়ে সকাল ৭টা থেকে ১১টার পর্যন্ত জরুরি পণ্যের দোকান খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জরুরি পণ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে আনাজ, ফল, দুধ, মাংস, ডিম, বেকারি, মিষ্টি-সহ যে কোনও খাবারের দোকানকে। চশমার দোকান, বর্ষায় ব্যবহারের সামগ্রী মেলে এমন ও চাষের প্রয়োজনে ব্যবহার হয় এমন সামগ্রীর দোকানও জরুরি পণ্যের আওতায় রাখা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার সকাল ৫টা থেকে ধীরে ধীরে শহরের ‘তালাখোলা’-র প্রক্রিয়া চালু হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি জানান, নির্মাণকাজ ও কারখানাগুলিকে সবার প্রথমে চালু করা হবে। এর পর প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি বিচার করে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলা হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯০০ জন। তামিলনাড়ুতে ৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়লেও কিছু কিছু পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের প্রথম ধাপে মুদির দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও সরকার জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিয়ে ওই দোকানগুলি ঠেলাগাড়ি বা ভ্যানে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জিনিস বিক্রি করতে পারবে।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা আজ জানিয়েছেন, লকডাউন না বাড়াতে চাইলে রাজ্যবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আপাতত সেখানে ৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলার কথা থাকলেও তা বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। উত্তরপ্রদেশেও আক্রান্তের হার কমছে বলে শনিবার জানিয়েছে প্রশাসন। এ দিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় কেরলে ৯ জুন এবং গোয়ায় ৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে।

Advertisement

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সে কথা মাথায় রেখে সরকারকে সহায়তার জন্য শি‌শুরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করছে অন্ধ্রপ্রদেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement