মনোহরলাল খট্টর এবং দুষ্মন্ত চৌটালা। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের যুবসমাজের জন্য বেসরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ করতে হরিয়ানা সরকারের উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বণিকসভা ‘ফিকি’। সংস্থার সভাপতি উদয় শঙ্কর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘হরিয়ানা সরকারের এই উদ্যোগ রাজ্যে শিল্প উন্নয়ন এবং বেসরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে আনবে।’’ টুইটারে এ বিষয়ে তাঁর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফিকি-প্রধান।
হরিয়ানার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং সহযোগী জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)-র নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা রাজ্যের যুবক-যুবতীদের চাকরির সুযোগ দিতে নয়া আইন প্রণয়নে সক্রিয় হয়েছেন। নয়া আইনে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, এ বার থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ চাকরি বাধ্যতামূলক ভাবে সংরক্ষিত রাখা হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য।
গত বছর জুলাইয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ৭৫ শতাংশ চাকরির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে হরিয়ানা সরকার। আনলক পর্বে বিধানসভার অধিবেশনে এ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হয়। তাতে শিল্পসংস্থা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার বা তার বেশি মাসিক বেতনের চাকরির ৭৫ শতাংশ রাজ্যবাসীর জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আর তাতেই আপত্তি তুলেছে ‘ফিকি’-সহ বিভিন্ন বণিক মঞ্চ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান।
গত মঙ্গলবার হরিয়ানার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলটি অনুমোদন করে সই করেন। মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বুধবার জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই নতুন আইন বলবতের জন্য সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হবে। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে এমন সংরক্ষণ চালু হলে মেধার প্রতি বঞ্চনা হবে এবং প্রতিযোগিতার বাজারে পিছু হঠতে হবে বলে আশঙ্কা নয়া আইনের বিরোধীদের।