শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কার টুইট দেখে হাসির রোল নেটমাধ্যমে। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
করোনা অতিমারির হানায় শুরু হয়েছিল ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এতে অফিসে না এসে অফিসের কাজ বাড়িতে বসে করা যায়। পরিস্থিতি বিচার করে সব মহলেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কিন্তু এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণেই নাকি বিয়ে ভাঙার অবস্থা।
হ্যাঁ। এমনই আজব কাণ্ড ঘটেছে শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কার সংস্থায়। অন্তত শিল্পপতি তেমনটাই দাবি করেছেন।
সম্প্রতি একটি চিঠির বয়ান টুইটারে শেয়ার করেছেন শিল্পপতি হর্ষ। সেখানে দেখা যাচ্ছে হর্ষকে উদ্দেশ্য করে চিঠিটি পাঠিয়েছেন গোয়েঙ্কার সংস্থার মনোজ নামে এক কর্মীর স্ত্রী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তাঁর স্বামীকে যেন অতি অবশ্যই অফিসে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অতিমারির সময় কেন এমন আবদার?
তাও চিঠিতে খোলসা করেছেন মনোজের স্ত্রী। লিখেছেন, স্বামী ঘরে অফিসের কাজ করতে বসলে তাঁর সামনে দশ কাপ কফি ধরতে হয়। এক একবার এক একটি ঘরে বসে কাজ করেন স্বামী। এবং কাজ শেষ হওয়ার পর দেখা যায় ঘরের অবস্থা লন্ডভন্ড। স্বামী সবসময় খাইখাই করতে থাকেন। এমনকি কাজের সময় স্বামীকে ঘুমোতেও দেখেছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জনৈক মনোজের স্ত্রী। নিজের দুই সন্তানকে দেখভাল করার পর স্বামীর বায়নাক্কা সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। তাই স্বামীকে যেন যত দ্রুত সম্ভব অফিসে গিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে হয়ত তাঁদের বিয়েই ভেঙে যাবে। স্বামী যে করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়ে ফেলেছেন, সে কথাও চিঠিতে গোয়েঙ্কাকে জানিয়েছেন মনোজের স্ত্রী।
এই চিঠিটি টুইটারে শেয়ার করে শিল্পপতি হর্ষ লিখেছেন, ‘আমি জানি না ওঁকে কী জবাব দেওয়া যায়।’
টুইটটি দেখে হাসির ফোয়ারা নেটমাধ্যমে।