আনন্দ মহীন্দ্রা (বাঁ দিকে)। শারীরিক ভাবে অক্ষম এই ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মহীন্দ্রা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
দু’হাতই কনুইয়ের নীচ থেকে নেই। পেটের তাগিদে নিজের সুবিধা মতো বানিয়ে নিয়েছেন মোটরচালিত ভ্যান। আর তাতে বসেই দিব্যি আয়ের রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন তিনি। তিনি কিন্তু অন্যের উপর নির্ভরশীল হননি। বরং শারীরিক অক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সংসারের জোয়াল কাঁধে তুলে নিয়েছেন। দিব্যি অ্যাক্সিলারেটর, ব্রেক ব্যবহার করে ভ্যান চালাচ্ছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সম্প্রতি এমনই এক ব্যক্তির ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়ো টুইট করেছেন শিল্পপতি আনন্দ মহীন্দ্রা। তিনি লিখেছেন, ‘আমার টাইমলাইনে এই ভিডিয়োটি পেলাম। জানি না এটা কত পুরনো বা কোথাকার। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতা নিয়েও ইনি যে কাজ করে চলেছেন, তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।’
না, ভিডিয়োর ওই ভদ্রলোক কে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। শুধু জানা গিয়েছে তিনি দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা। প্রশ্নকর্তার কথা শুনে এটুকু বোঝা যাচ্ছে পাঁচ বছর ধরে ভ্যান চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করছেন তিনি। বাড়িতে বয়স্ক বাবা, স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের কথা চিন্তা করেই শারীরিক অক্ষমতাকে দূরে ঠেলে হাতে তুলে নিয়েছেন অ্যাক্সিলারেটর। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁর মুখের হাসি জয় করছে অনেকের হৃদয়। এমনকি আনন্দ মহীন্দ্রাও ওই ব্যক্তির লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁকে কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন।