ইন্ডিগোর বিমান। —ফাইল চিত্র।
আবার বিতর্কে ইন্ডিগো। তাদের একটি পুণেগামী বিমান তিন ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। তার কারণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই বিমানটির পাইলট বদল করতে হয়েছে শেষ মুহূর্তে। সেই কারণেই দেরি। বিমান মাটি ছেড়ে ওড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে পাইলট একটি দুঃসংবাদ পান। তিনি জানতে পারেন, তাঁর ঠাকুমা মারা গিয়েছেন। ওই খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন পাইলট। ফলে চালক বদলের সিদ্ধান্ত নেয় ইন্ডিগো।
ইন্ডিগোর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। পটনা থেকে পুণে যাচ্ছিল বিমানটি। রানওয়ের উপর দিয়ে বিমানের চাকা গড়ানোও শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই মুহূর্তে পাইলট প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদ পান। সূত্রের খবর, ঠাকুমার মৃত্যুর খবরে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ওই চালকের। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, তাঁকে বিমান চালাতে দেওয়া হবে না। নিজেকে সামলে নেওয়ার সময় দেওয়া হবে তাঁকে। ফলে পাইলট বদল করা হয়।
নতুন পাইলট জোগাড় করে বিমান ছাড়তে ছাড়তে তিন ঘণ্টা লেগে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের যাতে অপেক্ষা করতে অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থাও করেছিল বিমান সংস্থা।
গত কয়েক দিন ধরেই ইন্ডিগোর বহু বিমান নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছাড়ছে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সময়ে বিমান গন্তব্যে না পৌঁছনোয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। এক যাত্রী দু’দিন আগে অধৈর্য হয়ে বিমান চালককে ঘুষি মেরে বসেছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিমান ১৩ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল বলে অভিযোগ।
মূলত দিল্লি এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরে বিমান চলাচলে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা তলানিতে ঠেকেছে। বিমান দেরি করার মূল কারণ সেটাই। তবে সেই আবহাওয়াজনিত সমস্যার মাঝেই পাইলট বদলে তিন ঘণ্টা দেরি করে বিতর্কে জড়িয়েছে ইন্ডিগো।