ফাইল চিত্র
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের সম্মেলন হতে চলেছে মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহে টোকিয়োয়। শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না ঘটলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোয়াড বৈঠকে যোগ দিতে জাপানে যাওয়ার কথা। ২১ মে অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচন। সে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন যদি ধাক্কা খান তাহলে অবশ্য কোয়াড বৈঠকের সময় বদলাতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কোয়াডের মধ্যে যে চিড় ধরেছে তা কোনও গোপন বিষয় নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দামূলক প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে বারবার সরে দাঁড়িয়েছে ভারত। আমেরিকা বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া সত্ত্বেও নয়াদিল্লি তার ভারসাম্যের কূটনীতি থেকে সরেনি। আমেরিকা তো বটেই, কোয়াডের দুই সদস্য অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও কিন্তু ভোট দিয়েছে মস্কোর বিরুদ্ধেই। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গত মাসে জরুরি কোয়াড বৈঠক (ভিডিয়ো) ডাকা হয়েছিল। সেখানেও ভারত ছিল এক দিকে, আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়া অন্য দিকে।
কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক ভিডিয়ো বৈঠকে ও দু’দেশের মধ্যে ‘টু প্লাস টু’ আলোচনার পরে একটি বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত-আমেরিকা। তা হল, রাশিয়া এবং ইউক্রেন প্রশ্নে যতই মতবিরোধ থাক, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্যের প্রশ্নে কোয়াড জোটকে অটুট রাখতে হবে। দু’টি বিষয়কে পৃথক ভাবে দেখতে হবে। যাতে রাশিয়ার ছায়া ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসে না পড়ে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই পূর্ণ উদ্যমে টোকিয়োর সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চারটি দেশ।