বুধবার বাজেট পড়বেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি: সংগৃহীত।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের বাজেট বুধবার পড়বেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এটাই মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৩ সালের এই বাজেট ঘিরে নাগরিকদের অনেক আশা। স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেট ঘিরেও দেশবাসীর অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। কেমন ছিল সেই বাজেট?
১৯৪৭-৪৮ সালের সেই বাজেট পড়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী স্যর আরকে সন্মুখম চেট্টি। তিনি কিন্তু কংগ্রেসের নেতা ছিলেন না। বরং ব্রিটিশদের সমর্থক জাস্টিস পার্টির নেতা। পাশাপাশি, তিনি ছিলেন এক জন উদ্যোগপতি। তার আগে তিনি কোচি রাজ্যের দিওয়ান এবং সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শদাতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম বাজেটে মোট বরাদ্দ ছিল ১৯৭.৩৯ কোটি টাকা। তার মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৯২.৭৪ কোটি। বাজেটের ৪৬ শতাংশ। সেই সময় বিকেল ৫টার সময় পড়া হত বাজেট। কারণ, ভারতীয় নেতা-মন্ত্রীরা চাইতেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যেরাও বাজেট শুনুক। ভারতে যখন বিকেল ৫টা, লন্ডন তখন প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পিছিয়ে, মানে বেলা সাড়ে ১১টা। সেই হিসাব করেই বাজেট পড়ার ওই সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।
১৯৪৭-৪৮ সালের সেই বাজেট পড়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী স্যর আরকে সন্মুখম চেট্টি। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম বাজেট সংসদে পড়ার আগেই তার অনেক তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল সংবাদপত্রে। করেছিলেন ব্রিটেনের চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার (অর্থমন্ত্রী) হিউ ডালটন। গল্পের ছলে সাংবাদিকদের বাজেটে করছাড় নিয়ে তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন ডালটন। তার খেসারতও দিতে হয়েছিল তাঁকে। ইস্তফা দিতে হয়েছিল ডালটনকে। তার পর থেকে গোপনীয়তা নিয়ে সতর্ক হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এখন ফেব্রুয়ারির প্রথম কাজের দিনে বাজেট পড়েন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যাতে এপ্রিলে নতুন অর্থবর্ষ চালুর আগে বাজেটের প্রস্তাব কার্যকর করা যায়। একই সঙ্গে বর্ষা নামার আগেই যাতে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়, সেটাও বাজেট এগিয়ে আনার কারণ হিসাবে জানিয়েছিল মোদী সরকার। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ফেব্রুয়ারির শেষ কাজের দিনে পড়া হত বাজেট। এখন সেই রীতি বদলেছে।