চিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে কী অবস্থা ভারতের? — ফাইল ছবি।
চিনে বাড়ছে করোনা। এই প্রেক্ষিতে সংক্রমণ যাতে ভারতেও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য শুরু থেকেই তৎপর ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে করোনা বাড়ন্ত। রবিবার শেষ হওয়া সপ্তাহে নতুন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা কমেছে। যদিও তার আগের দু’সপ্তাহে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনিক পরিসংখ্যান বলছে, গত সপ্তাহে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৬৮। তার আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ১,৫২৬। গত ছ’সপ্তাহ ধরেই দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজারের কম রয়েছে। অর্থাৎ, চিনে সংক্রমণ বাড়লেও তার কোনও প্রভাব এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি ভারতে। এমনকি যে কর্নাটকে সম্প্রতি সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছিল, সেখানেও রবিবার শেষ হওয়া সপ্তাহে সংক্রমিতের সংখ্যা কমে গিয়েছে।
একই কথা প্রযোজ্য মৃতের সংখ্যার ক্ষেত্রেও। এ সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত সপ্তাহে যা ছিল ৬। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দেশব্যাপী করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ এর কম।
দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে কেরল এখনও শীর্ষে। যদিও সংখ্যা কমেছে লক্ষণীয় হারে। ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহে কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৩। গত সপ্তাহে যা ছিল ৪৬৭। এ সপ্তাহে কেরলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ জনের।
চিনে করোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে ভারতে দ্রুত কড়াকড়ি জারি হয়। সেই সঙ্গেই জনমানসে ফিরতে শুরু করে করোনা অতিমারির সময়ের বিভীষিকার কথা। সরকারি তৎপরতাই হোক কিংবা অন্য কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি, ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দেয়নি। চিন বাদে গোটা বিশ্বেই মোটামুটি ভাবে চিত্র একই। গত দু’তিন সপ্তাহ ধরে গোটা বিশ্বেই সংক্রমণের হার কমছে।