Narendra Modi in USA

ঢাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লি, বাইডেনকে বার্তা মোদীর

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শক্তি এবং রাশিয়া-চিনের সঙ্গে পাঞ্জা কষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ভারতকে কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দু’পক্ষেরই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩২
Share:

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই মস্কো থেকে অশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত বা মধ্য এশিয়ার রণনৈতিক আবহে ভারত আমেরিকা যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে এমনটা নয়। পাঁচ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি।

Advertisement

কিন্তু তারই মধ্যে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, পরিবেশ এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার কাজ এগিয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ স্পষ্ট ভাবেই মোদী তুলে ধরেছেন আমেরিকার নেতৃত্বের সামনে। প্রসঙ্গত গত মাসে বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল মোদীর। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বাংলাদেশ নিয়ে এ বারেও কথা হয়েছে মোদী-বাইডেনের। সূত্রের খবর, সে দেশে হিংসাত্মক পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করা, সংখ্যালঘু (বিশেষ করে হিন্দু) সম্প্রদায়ের উপরে পীড়ন বন্ধ করার দিকে জোর দিয়েছেন মোদী।

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শক্তি এবং রাশিয়া-চিনের সঙ্গে পাঞ্জা কষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ভারতকে কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দু’পক্ষেরই। তা ছাড়া ভারতের বিশাল বাজারে এবং বিশেষত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মস্কো নির্ভরতা কমানোরও সচেতন প্রয়াস রয়েছে আমেরিকার। বাইডেনের সঙ্গে মোদীর বৈঠকের পরে এই বিষয়টিই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

Advertisement

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, মোদী এবং বাইডেনের আলোচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছে সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, আমেরিকার ড্রোন কেনার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা, যৌথ মহড়ার মতো বিষয়। সি-১৩০জে ‘সুপার হারকিউলিস’ বিমানের জন্য মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন এবং টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম্‌স লিমিটেডের মধ্যে সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারতের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। করোনা অতিমারির সময়ে ভারতের ভূমিকা, গ্লোবাল সাউথ তথা দরিদ্র বিশ্বের স্বার্থরক্ষায় নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে তারও প্রশংসা করেছেন বাইডেন।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফরের প্রশংসা করে বাইডেন বলেছেন, কয়েক দশকের মধ্যে মোদী প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ইউক্রেন সফর করলেন। তিনি শান্তি এবং মানবিক সাহায্যের বার্তা নিয়ে গিয়েছেন সে দেশে। প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর নিয়ে অবশ্য নীরবই থেকেছে হোয়াইট হাউস। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে বৈঠকে সমর্থন জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement