corona

ভারতে বিনামূল্যে করোনা টিকা মিলতে আর ৭৩ দিন, জানাল প্রস্তুতকারী সংস্থা

স্বেচ্ছাসেবকের দেহে প্রথম ডোজটি দেওয়া হয়েছে শনিবার। ২৯ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে। পরীক্ষার ফল মিলতে আরও ১৫ দিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ১২:২৮
Share:

করোনার টিকা। প্রতীকী ছবি।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৭৩ দিনের মধ্যেই বিনামূল্যে করোনার টিকা পেতে পারে ভারতবাসী। করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক শনিবার জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি করা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড সংক্রান্ত যাবতীয় পরীক্ষার কাজ আগামী ৫৮ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

Advertisement

ওই আধিকারিক জানান, মানবদেহে করোনা টিকা পরীক্ষার (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) দু’দফার কাজ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। মুম্বই, পুণে, আমদাবাদ-সহ দেশের ২০টি শহরে দেহে প্রথম ডোজটি দেওয়া হয়েছে শনিবার। ২৯ দিন পরে ১,৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে। পরীক্ষার ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১৫ দিন। তবে করোনা টিকার উৎপাদন ও বণ্টনের কাজের রূপরেখা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইডিশ-ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রা জেনেকার সহযোগিতায় কোভিশিল্ড তৈরি করেছে পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। চলতি মাসের গোড়াতেই কোভিশিল্ডের দু’দফার (দ্বিতীয় ও তৃতীয়) হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। জুলাই মাসে ব্রিটিশ বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘দি ল্যানসেট’-এ অক্সফোর্ডের করোনা টিকার মানবদেহে প্রথম পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে জানানো হয়, ব্রিটেনে ৯০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরেই করোনা-রোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এই প্রতিষেধক।

Advertisement

আরও পড়ুন: সুস্থতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ, ৩০ লক্ষ ছাড়াল মোট আক্রান্ত

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিজি বলরাম ভার্গব সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ভারতে তৈরি দুই সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ। সাধারণত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হতে ৬ থেকে ৯ মাস লাগে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে এখনই জরুরি ভিত্তিতে তাদের ছাড়পত্র দিতে পারে। সূত্রের খবর, সেই দু’টি প্রতিষেধকের মধ্যে একটি কোভিশিল্ড। অন্যটি, হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। চলতি মাসে মার্কিন সংস্থা ‘নোভাভ্যাক্স’ তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক ‘এনভিএক্স-কোভ-২৩৭৩’ উৎপাদনের জন্য চুক্তি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার পথেই ভারত? ট্রায়ালের আগেই দেওয়া হতে পারে টিকায় ছাড়পত্র

পুণের সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই অ্যাস্ট্রা জেনেকার থেকে ভারত সহ ৯৩টি দেশে কোভিশিল্ড বিক্রির রয়্যালটি কিনে নিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে আগামী জুন মাসের মধ্যে ৬৮ কোটি প্রতিষেধক ডোজ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে । ভারতীয়দের জন্য দ্রুত নিখরচায় টিকার ব্যবস্থা করতেই এই পদক্ষেপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement