বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। ফাইল চিত্র।
গোটা ভারতের মানুষের ডিএনএ একই রকম। তবে যাঁরা গরুর মাংস খান, তাঁদেরটা আলাদা— রাজস্থানের দৌসায় পৌঁছে এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। এ মাসের শুরুতে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের কথা বলা অর্থহীন। কারণ, তাঁরা আলাদা নয়— দেশের সব মানুষের ডিএনএ একই রকম। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে সঙ্ঘের শীর্ষ নেতার মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ শুরু হয়েছিল। তার মধ্যেই অবশ্য পুরনো ঝাঁঝ নিয়েই মাঠে নেমে পড়লেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একাংশ।
দৌসা জেলায় পৌঁছে জনসংখ্যা নীতি নিয়ে সংসদে আইন পাশ করার দাবি তুলেছেন পরিষদের নেত্রী প্রাচী। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘যাঁদের দু’টির বেশি সন্তান, তাঁদের জন্য সরকারি সুবিধা বন্ধ হোক। তাঁদের ভোট দেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া উচিত।’’ দুই সন্তান আইন দেশের সব সম্প্রদায়ের জন্য চালু করার দাবি তুলেছেন প্রাচী। তবে এর সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘এমন যেন না হয়, এক দিকে দেশে দুই সন্তান আইন চালু হচ্ছে। অন্য দিকে, পাঁচ স্ত্রী আর তাঁদের দু’টি করে বাচ্চার লাইন লেগে যাচ্ছে।’’ বিয়ের নামে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করতে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত বলেও দাবি তুলেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী।
ভোটের মুখে জনসংখ্যা নীতির প্রসঙ্গ তুলে উত্তরপ্রদেশে যোগী যে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছেন, অন্য রাজ্যে সেই সুরই শোনা গিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী সাধ্বী প্রাচীর মুখে।