ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
ভারতের বিবাহিত মহিলারা তাঁদের স্বামীকে নিয়ে অত্যন্ত অধিকারপ্রবণ। অন্য কারও সঙ্গে স্বামীকে ভাগ করে নেওয়া মানতে পারেন না। এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাই কোর্টের।
স্ত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুশীল কুমার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, সুশীলের আগের পক্ষের দুই স্ত্রী রয়েছে। দুই সন্তানও রয়েছে তাঁর। তার পরেও তৃতীয় বারের জন্য বিয়ে করেছেন এবং বিবাহবিচ্ছেদ না করেই। আর তা নিয়ে তৃতীয় স্ত্রী খুবই বিচলতি ছিলেন। শেষমেশ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
সেই মামলায় আদালতের কাছে মুক্তির আবেদন জানান অভিযুক্ত সুশীল কুমার। কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদীর বেঞ্চ জানায়, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত সুশীল কুমার তৃতীয় বার বিয়ে করেন। আর সেটাই তাঁর স্ত্রীর আত্মহত্যার একমাত্র কারণ বলে মনে করে আদালত।
এর পরই আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় মহিলারা তাঁদের স্বামীর প্রতি অত্যন্ত অধিকারপ্রবণ। এক জন বিবাহিত মহিলা কখনওই তাঁর স্বামীর ভাগ মেনে নিতে পারেন না। যদি কোনও মহিলা দেখেন তাঁর স্বামী আবার বিয়ে করছেন, সেই ঘটনা তাঁর কাছে একটা বিশাল ধাক্কা। এ রকম পরিস্থিতিতে কোনও মহিলার পক্ষে স্বাভাবিক আচরণ করা সম্ভব নয়। সুশীলকুমারের মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।