ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়ুক না-পড়ুক, প্রতি বছরই কুয়াশায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। ঘটে দুর্ঘটনাও। সেই দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ সতর্কতার ব্যবস্থা করছে রেল।
সব ট্রেনের ইঞ্জিনে এখনও ‘ফগ সেফ’ যন্ত্রের বন্দোবস্ত করে ওঠা যায়নি। তাই কম দৃশ্যমানতায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সংঘর্ষ এড়াতে চালকদের কঠোর ভাবে সিগন্যাল সংক্রান্ত বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব রেল। ওই রেল সূত্রের খবর, দেরিতে ট্রেন চলার সমস্যার মোকাবিলায় বিভিন্ন ট্রেনের একাধিক রেক মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতি বছর উত্তর এবং পশ্চিম ভারত থেকে আসা বিভিন্ন ট্রেন কুয়াশার জন্য অস্বাভাবিক দেরি করায় পূর্ব রেলের দূরপাল্লার ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা ধাক্কা খায়। সেই সমস্যার সুরাহা করতেই বিকল্প রেক মজুত রাখা হচ্ছে। কুয়াশায় কোনও ট্রেনের যাত্রা সম্পূর্ণ করতে দেরি হতেই পারে। ফিরতি পথে ওই ট্রেন ছাড়তে যাতে আদৌ দেরি না-হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কুয়াশার ক্ষেত্রে চালকদের ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। যে-সব ট্রেনে ফগ সেফ যন্ত্র রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৭৫ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যে-সব অঞ্চলে খুব বেশি কুয়াশা হয়, সেখানে বিভিন্ন সিগন্যালে রাতের দিকে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চালকদের সতর্ক করতে ডিটোনেটর ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কোথায় কত গতিবেগে ট্রেন চালাতে হবে, তার তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে গার্ডদের হাতে। চালক নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করলে গার্ডদের সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইনে ফাটল বা অন্যান্য সমস্যা এড়াতে রেলের তরফে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির মৃত্যু রাজস্থানে, সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ