আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই রেল ১ লাখ ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ সেরে ফেলবে। ছবি: সংগৃহীত।
করোনকালে নিয়োগ হয়নি। এ বার তাই শূন্যপদ পূরণ করতে উদ্যোগী রেল। ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী অশ্বিন বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই রেল ১ লাখ ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ সেরে ফেলবে। তবে এ জন্য নতুন করে পরীক্ষা হবে না। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, অতীতে রেলের পরীক্ষায় যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে থেকেই হবে নিয়োগ।
ভারতীয় রেলের মোট পদ ১৪ লাখ ৯৩ হাজার। এর মধ্যে ৩ লাখ ১৪ হাজার পদ খালি রয়েছে। এই সব পদে নিয়োগের জন্য আগেই ৩ কোটি ৬৫ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। কিন্তু করোনার কারণে নিয়োগপ্রক্রিয়া থেমে ছিল। এ বার মোট শূন্য পদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ পূরণের লক্ষ্য এপ্রিল মাসের আগে। যে পদগুলিতে নিয়োগ হতে চলেছে তার বেশিটাই লেভেল ওয়ানের। এই লেভেলে পয়েন্টসম্যান, সিগন্যাল ও টেলিকম সহকারী, ট্র্যাকসপার্সনরা চাকরি করেন। রেলের স্বাভাবিক যাত্রার জন্য এই পদগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে চাকরির আবেদন করেছিলেন প্রায় ১ কোটি ১ লাখ প্রার্থী।
২০২২ সালের ১৭ অগস্ট থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় পরীক্ষাও নেয় রেল। লিখিত পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয় ২৩ ডিসেম্বর। এ বার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা রেলের। ৩৩ দিন ধরে ৯৯ শিফটে পরীক্ষা হয়।রেল সূত্রে জানা যায়, এই পরীক্ষা নিয়ে খরচ হয় ১,২০০ কোটি টাকার বেশি। প্রার্থী পিছু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ করতে হয় রেলকে। কারণ, কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। করোনাআবহে পরীক্ষার খরচও বেড়ে যায় রেলের। করোনাকালের আগে যে হলঘরে এক হাজার জন বসানো যেতে সেখানে দূরত্ববিধি মেনে ২০০ থেকে ৩০০ জন পরীক্ষার্থীকে বসানো হয়।