ফুলন দেবী
রেলস্টেশনের দেওয়াল সাজাতে আঁকা হয়েছিল বিখ্যাত মহিলা ব্যক্তিত্বদের ছবি। তাতে ছিল প্রাক্তন দস্যুনেত্রী ও পরে সক্রিয় রাজনীতিতে আসা ফুলন দেবীর ছবিও। আর তা থেকেই ইনদওরে শুরু বিতর্কের। এক দিকে রাজপুত, অন্য দিকে মাল্লা সম্প্রদায়— টানাপড়েনের মুখে সেই ছবি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মুছে ফেললেও বিতর্ক থামেনি। বরং আরও বেড়েছে মাল্লা সম্প্রদায়ের ক্ষোভ।
গত ১৩ এপ্রিল সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্প (সিএসআর)-এর আওতায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ইনদওরের একটি রেলস্টেশনের দেওয়ালে আঁকা হয়েছিল বিখ্যাত ৩৫ জন মহিলা ব্যক্তিত্বের ছবি। নিছক সৌন্দর্যায়নের খাতিরেই। তার মধ্যে যেমন ছিল মাদার টেরেসা বা ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের ছবি, তেমনই ছিল ফুলন দেবীর ছবিও।
কেন ফুলন দেবীর ছবি দেওয়ালে আঁকা হল, তা নিয়ে সম্প্রতি রাজপুত সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। সারা ভারত ক্ষত্রিয় মহাসভার ইনদওর এককের পক্ষ থেকে মোহন সেনগর বলেন, ‘‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলতে হবে, ফুলন দেবী সমাজের জন্য এমন কী কাজ করেছেন? কেন তাঁর ছবি মাদার টেরেসা বা রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের মতো মহান নারীদের ছবির সঙ্গে আঁকার অনুমতি দেওয়া হল?’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিতর্কের মুখে ফুলন দেবীর ছবিটি দেওয়াল থেকে সরিয়ে দেন রেল কর্তৃপক্ষ। তাতে আবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় মাল্লা সম্প্রদায়। ফুলন ওই সম্প্রদায়েরই মানুষ ছিলেন। মধ্যপ্রদেশ মাঝি মাছুয়া এবং আদিবাসী মহাসঙ্ঘের সভাপতি চন্দ্রশেখর রাইকোয়ার বলেন, ‘‘যে ভাবে ছবিটি সরিয়ে দেওয়া হল তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। খুব শীঘ্রই আমাদের প্রতিনিধি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গিয়ে কথা বলে ছবিটি ফের দেওয়ালে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাবেন।’’ পাশাপাশি চন্দ্রশেখরের দাবি, ফুলন দেবীর জীবন আসলে এক নারীর সংগ্রামের গল্প।
এ বিষয়ে রতলম রেল ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার আর এল সুনকরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রেল কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত ছবিটি সম্পর্কে জানার পরেই তা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সুনকর আরও জানান, যে সংস্থা ওই ছবি আঁকার বরাত পেয়েছিল তাদের আগেই স্পষ্ট জানানো হয় যে রেলের অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যক্তিত্বের ছবি আঁকা যাবে না।