—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রেল পরিচালনায় দক্ষতা আনতে বিভিন্ন শাখায় আধিকারিক নিয়োগের প্রক্রিয়াকে ২০১৯ সালে একটি সুসংহত ব্যবস্থার অধীনে আনা হয়। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস নামের ওই ব্যবস্থায় মেকানিকাল, ট্রাফিক, অ্যাকাউন্টস, স্টোর-সহ ৮টি ক্যাডারের আলাদা শাখাকে একই পরিচালন ব্যবস্থায় আনা হয়। যাতে বিভিন্ন শাখা থেকে আধিকারিকরা এলেও দক্ষতার বিচারে সকলেই রেল পরিচালন ব্যবস্থার শীর্ষে পৌঁছনোর সুযোগ পান।
নতুন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে আধিকারিক নিয়োগের পরীক্ষা হলেও যথেষ্ট সংখ্যায় যোগ্য প্রার্থী মিলছে না বলে অভিযোগ। পর পর ২০২২ এবং ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হলেও বছরে ১৫০ জন আধিকারিক নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি বলে অভিযোগ। উপযুক্ত সংখ্যায় আধিকারিক না পেয়ে রেলে জুনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেড থেকে অবসর নেওয়া অফিসারদের পুনর্নিয়োগ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
রেল সূত্রে খবর, ২০২২ সালে ১৫০ জন আধিকারিকের জন্য শূন্যপদ থাকলেও সারা দেশে পরীক্ষার যোগ্যতা মান পেরোতে সক্ষম হন মাত্র ১৩০ জন। ওই সব সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৪০ জন রেলের চাকরি বেছে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। অন্যরা সে পথে না হেঁটে অন্যান্য পরীক্ষার জন্য চেষ্টা করছেন বলে খবর। ২০২৩ সালের পরীক্ষায় ওই সংখ্যা কমে হয়েছে় ৮৪।
ভাল পড়ুয়াদের এ ভাবে রেলের ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা চিন্তায় ফেলেছে রেলের আধিকারিকদের। ফলে, পর পর দু’বছরের নিয়োগ ঘাটতি মেটাতে বিভিন্ন বিভাগ থেকে জুনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেড থেকে অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের একাংশকে পুনর্নিয়োগ করা হচ্ছে।২০২৬ পর্যন্ত ওই সব আধিকারিকদের পুনর্নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রেলের সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে অতীতে ভাল পড়ুয়াদের বড় অংশ সিভিল সার্ভিস বা ওই জাতীয় ক্ষেত্র বেছে নিতেন। রেলে ভবিষ্যতের দক্ষ আধিকারিকদের টেনে আনতে প্রশাসনিক সংস্কার করা হলেও তা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে এখনও ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি বলে অভিযোগ।