মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টায় সাবওয়ে বানাল ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে।
চোখের নিমেষে সরিয়ে ফেলা হল রেল লাইন। মাটি খুঁড়ে ঝড়ের গতিতে বসে গেল স্ল্যাব। আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজও সারা হল পলক ফেলতে না ফেলতেই। সময় গড়াল সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। তার মধ্যেই আস্ত একটা সাবওয়ে বানিয়ে ফের চমকে দিল ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে।
অন্ধ্রপ্রদেশের পেন্দুরথি এবং কোঠাভালসা এলাকায় রেল লাইনের নীচ দিয়ে একটি সাবওয়ে তৈরির পরিকল্পনা অনেক দিন ধরেই ছিল ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের। ২০১৭ সালে সেই মতো অনুমোদনও দিয়েছিল কেন্দ্র। ঠিক হয়েছিল, এই সাবওয়ে হবে প্রায় দেড় মিটার চওড়া। ইস্ট কোস্ট রেলের বিশাখাপত্তনম শাখার এক আধিকারিক বলেছেন, “২০টি সেগমেন্ট বসিয়ে খুব কম উচ্চতার এই সাবওয়েটি তৈরির কাজ আমরা শুরু করি। সাড়ে চার ঘণ্টাতেই গোটা সাবওয়ে তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।’’
রেল সূত্রে খবর, কাজটি দ্রুত গতিতে শেষ করার জন্য ১৬টি এক্সক্যাভেটার ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাবওয়ে তৈরির জন্য লেগেছে তিনটি হেভি ডিউটি ক্রেন, পাঁচটি ট্রাক, হাজারেরও বেশি বালির বস্তা, ৪টি হাইড্রা মেশিন এবং হেভিওয়েট জ্যাকেট।
দেখুন ভিডিয়ো:
৩০০ শ্রমিকের নিরলস পরিশ্রমে এত কম সময়ে কাজটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
গুহা থেকে নামতেই দেখি মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে ওরা
পুরীর দরজা খুলুক সবার জন্য, চায় সুপ্রিম কোর্ট
কী ভাবে এত তাড়াতাড়ি শেষ হল সাবওয়ে তৈরির কাজ? ইস্ট কোস্ট রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথমে ক্রেনের সাহায্যে রেল ট্র্যাক সরানো হয়। এর পর দক্ষতার সঙ্গে দু’পাশের মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেন শ্রমিকেরা। বক্স এবং বেস প্লেট বসানোর কাজ শুরু হয় একই সঙ্গে। হেভিডিউটি ক্রেন দিয়ে প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড বক্স এবং বেস স্ল্যাবগুলি দু’দিক থেকেই বসানোর কাজ শুরু হয়। এই রকম ২০টি বক্স বসাতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। সারফেস তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বেস স্ল্যাব বসাতে আরও দেড় ঘণ্টা। এই ভাবেই সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে গোটা সাবওয়েটি তৈরির কাজ শেষ হয়।
তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও কম সময় সাবওয়ে তৈরির রেকর্ড রয়েছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের। ২০১৭ সালে এপ্রিল মাসে এমন ভাবেই কম সময় সাবওয়ে তৈরি করেছিল ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। পামামূর্তি পান্থুলু পেটা এবং বিশাখাপত্তনমের মাঝে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় সাবওয়ে তৈরির কাজ শেষ করেছিল তারা।