প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দূরপাল্লার সফরের জন্য টিকিট কাটার এখন অনেক সুবিধা। ঘরে বসেই অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধ বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। আইআরসিটিসি-র পোর্টাল এবং অ্যাপ থেকে টিকিট বিক্রি দিনদিন বাড়ছে। তবে এখনও বড় অংশের মানুষ রেল স্টেশনে যান টিকিট সংরক্ষণের জন্য। এ বার সেই কাজটা বাড়ির কাছে ডাকঘরে গেলেই হয়ে যাবে। রেল প্রথমে এই পরিষেবা শুরু করছে দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে। শুক্রবারই বিধানসভা ভোটমুখী ওই রাজ্যের সব ডাকঘর থেকে রেলের টিকিট কাটা যাবে। রেলের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে গোটা দেশেই এই পরিষেবা দেওয়া হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের ৯,১৪৭টি ডাকঘর থেকে এই পরিষেবার উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। লখনউয়ের মূল ডাকঘর থেকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গোটা রাজ্যে একসঙ্গে পরিষেবা শুরু হবে।
চিঠি লেখার রেওয়াজ কমে যাওয়া এবং বেসরকারি কুরিয়র সার্ভিসের বাড়বাড়ন্তে অনেক দিন ধরেই কোণঠাসা দেশের ডাক বিভাগ। ডাক ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য অতীতে অনেকবার উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর্থিক কাজকর্মের উপরে ডাক বিভাগের নির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশজুড়ে পোস্টাল ব্যাঙ্ক পরিষেবা শুরু করে। এর পরে গ্রামাঞ্চলের ডাকঘরেও ব্যাঙ্কের সুবিধা মিলতে শুরু করে। এ বার সেই পরিকাঠামো রেলও ব্যবহার করতে চাইছে। অতীতেও রেল এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু তা গোটা দেশে কার্যকর করা যায়নি। এ বার আরও বেশি করে ডাকবিভাগকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।
রেলের দাবি, অনলাইনে টিকিট কাটা জনপ্রিয় হলেও এখনও বহু মানুষ সেই সুবিধা নিতে পারেন না। নির্ভর করেন এজেন্টদের উপরে। এর জন্য ভাড়া ছাড়াও বাড়তি খরচ করতে হয়। রেলের দাবি, ডাকঘর থেকে টিকিট বিক্রি হলে যাত্রীদের অতিরিক্ত পরিষেবা মূল্য দিতে হবে না। একই সঙ্গে ট্রেনের টিকিট নিয়ে কারচুপি বন্ধ হবে। তবে রেলের দাবি, সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা। যে সব এলাকায় রেল স্টেশন অনেক দূরে সেখানেও ডাকঘর রয়েছে। ফলে টিকিট কাটার জন্য আর অনেক বেশি পথ পাড়ি জমাতে হবে না যাত্রীদের।