দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কটের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪২টি ট্রেন বাতিল করেছে রেল। আরও ৭৫৩টি যাত্রিবাহী ট্রেন সাময়িক ভাবে বাতিল করতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি বিভাগীয় বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বলে রেল মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার এই ট্রেনগুলি ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে দ্রুত কয়লা পৌঁছনোর ব্যবস্থা করছে ভারতীয় রেল। ফলে যাত্রিবাহী ট্রেনের সময়সূচি এবং পথ পরিবর্তন এমনকি বহু ট্রেন বাতিলের মতো পদক্ষেপ করতে হয়েছে।
রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কয়লাবাহী ট্রেনগুলির চালানোর উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে প্যাসেঞ্জার, মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির সময়সূচি, পথ ইত্যাদির ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তনও করতে হচ্ছে।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কয়লা দ্রুত পৌঁছনোর জন্য কয়লাবাহী ট্রেনগুলির চলাচলের সময়ও বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ট্রেনগুলির বহনক্ষমতা এবং দূরত্ব অতিক্রমের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। একটি মালগাড়ি যেখানে সাড়ে ৭ হাজার কিলোমিটার চলার পর গ্যারেজে পাঠানো হত, এখন এই পরিস্থিতিতে ১০ হাজার কিমি চলার পর গ্যারেজে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে আরও বেশি পরিমাণে কয়লা পরিবহণ করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কটের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪২টি ট্রেন বাতিল করেছে রেল। আরও ৭৫৩টি যাত্রিবাহী ট্রেন সাময়িক ভাবে বাতিল করতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি বিভাগীয় বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বলে রেল মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার এই ট্রেনগুলি ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।