গিরিজা দেবী।
মঙ্গলবার রাত ৯টা। ৮৮ বছর বয়সে থেমে গেল গিরিজা দেবীর কণ্ঠ। আলিপুরের একটি হাসপাতালে।
বেনারস ঘরানার এই শিল্পী পূরব অঙ্গের ঠুংরি পরিবেশনায় এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছিলেন। তাঁর কণ্ঠে দাদরা, টপ্পা, কাজরি ছিল শ্রোতাদের পছন্দের শীর্ষে। এখনও নিয়মিত আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন তিনি। ২৬ এবং ২৯ অক্টোবর জয়পুর ও পুণেতে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল।
এই প্রজন্মের শিল্পীদের অনেকের কাছেই তিনি ছিলেন মাতৃসমা। শিল্পীর প্রয়াণের খবর পেয়ে তাঁদের অনেকেই ছুটে যান হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকেই ফোনে কণ্ঠশিল্পী রাশিদ খান বলেন, ‘‘গিরিজা দেবীর প্রয়াণকে অপূরণীয় ক্ষতি বললেও কিছুই বলা হয় না। সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমিতে ছোটবেলা থেকে তাঁর সান্নিধ্যে বড় হয়েছি। মাসখানেক আগে ফোনে বললেন, তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে। সময়ের অভাবে যেতে পারিনি। সেই দেখা আর হল না!’’
প্রবীণ শিল্পী বিজয় কিচলুর কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে যা হারালাম, সেটা প্রকাশ করার ভাষা নেই। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে বলতে পারি, পূরব অঙ্গের ঠুংরি ঘরানায় তিনিই শেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর যাওয়ার সঙ্গে সেই ঘরানাও শেষ হয়ে গেল।’’ সরোদ শিল্পী তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার বলেন, ‘‘জীবনের শৃঙ্খলা কী ভাবে সঙ্গীতে ছায়া ফেলে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছিলেন গিরিজা দেবী।’’ শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।