দেশে ফিরে আসা বাকি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিজের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত কৃতিকাও। জানালেন মোদী সরকার যদি তাঁদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেয়, তা হলে এখানেই পড়াশোনা শেষ করবেন তিনি। না হলে? আবার ইউক্রেনে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।
ছবি রয়টার্স।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে কোনও মতে দেশে ফিরতে পেরেছেন তিনি। পরিবারের মানুষের উৎকণ্ঠার প্রহর কেটেছে সদ্য। কিন্তু নিজের নাগরিক অধিকার নিয়ে তিনি সচেতন। তাই আজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভুললেন না ইউক্রেনে ডাক্তারি পাঠরত ছাত্রী কৃতিকা।
আদতে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা কৃতিকা। রুশ হামলায় বিধ্বস্ত খারকিভ শহরের এক মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন তিনি। আজ ছিল উত্তরপ্রদেশের শেষ দফার নির্বাচন। যুদ্ধের ভয়াবহ আতঙ্ক কাটিয়েই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন কৃতিকা। সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘এটা আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে।’’
কী ভাবে খারকিভ থেকে ফিরলেন কৃতিকা? সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, একেবারে নিজেদের উদ্যোগে কয়েক জন ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে খারকিভ শহর ছেড়ে পোল্যান্ডের সীমান্তে পৌঁছেছিলেন তিনি। সেখানকার চেকপয়েন্ট থেকে ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্য পান। সেই সহায়তার মাধ্যমেই দিল্লির উড়ানে বসতে পেরেছিলেন তাঁরা।
অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ১৬০০-রও বেশি ভারতীয় পড়ুয়াকে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু রুশ আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খারকিভ ও সুমিতে এখনও পর্যন্ত আটকে বেশ কিছু ভারতীয় পড়ুয়া।
দেশে ফিরে আসা বাকি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিজের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত কৃতিকাও। জানালেন মোদী সরকার যদি তাঁদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেয়, তা হলে এখানেই পড়াশোনা শেষ করবেন তিনি। না হলে? আবার ইউক্রেনে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।