প্রতীকী ছবি।
ভুটানের মাটিতে ভারতীয়দের ‘রুপে’ কার্ড ব্যবহারের বন্দোবস্ত হয়েছিল গত বছরের অগস্টেই। ওই দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময়ে। এ বার ভুটান থেকে ভারতে আসা পড়ুয়া, তীর্থযাত্রী, পর্যটক, চিকিৎসাপ্রার্থীরাও যাতে এ দেশের এটিএম এবং পিওএস মেশিনে ওই কার্ড ব্যবহার করতে পারেন, আজ ভিডিয়ো অনুষ্ঠানে সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, “এতে সুবিধা হবে ভারতে আসা ভুটানের মানুষের।…দুই দেশের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব শুধু তাদের অমূল্য সম্পদ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই তা গুরুত্বপূর্ণ।” কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারত ও ভুটানের বন্ধুত্ব সময়ের নিক্তিতে পরীক্ষিত। ওই দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে ভুটানকেই বেছে নিয়েছিলেন মোদী। দু’দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব একাধিক বার আলোচনার টেবিলে বসেছে তার পরেও। এখন দ্বিতীয় দফার এই কার্ডের মাধ্যমে কয়েক দশকের পুরনো সেই বন্ধুত্বকে আরও পোক্ত করার চেষ্টা করেছে দিল্লি।
সম্প্রতি নেপালের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা তেতো হয়েছে দিল্লির। সাউথ ব্লকের ধারণা, ওই পড়শি মুলুকে দ্রুত প্রভাব বাড়ছে চিনের। ভারতের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরির’ অভিযোগ তুলে নেপালের মন বিষিয়ে দিতে চাইছে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ভুটানের সঙ্গে তাই বন্ধুত্বের বাঁধন শক্ত আরও শক্ত করতে মরিয়া দিল্লি। হয়তো সেই কারণেই দু’দেশের দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে এ দিন মোদী বলেছেন, আগামী বছরে ভুটানের কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পৌঁছে দেবে ইসরো। ভুটানে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা নিশ্চিত করতে কাজ চালাচ্ছে বিএসএনএল। এই পড়শি দেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনাও ভারতের রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দাবি।