মিথ্যা তথ্য সরবরাহের অভিযোগ ৩টি ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
খবরের মোড়কে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ। এক ঝলকে দেখে বোঝার কোনও উপায়ই নেই। স্বভাবতই জনপ্রিয়তাও আকাশছোঁয়া। এমনই ৩টি ইউটিউব চ্যানেলের অনৈতিক কারবারের পর্দাফাঁস করল ভারত সরকার। সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি এই ৩টি ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে জানিয়েছে, এরা অকাতরে মিথ্যা তথ্য খবরের মোড়কে দর্শকদের সামনে তুলে ধরে। পিআইবির দাবি, এই ৩টি ইউটিউব চ্যানেলের মিলিত সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি। তাদের তৈরি করা অনৈতিক খবর দেখেছেন প্রায় ৩০ কোটি মানুষ।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই তিনটি ইউটিউব চ্যানেল হল ‘নিউজ হেডলাইনস’, ‘সরকারি আপডেট’ এবং ‘আজতক লাইভ’। এই চ্যানেলগুলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারি প্রকল্প, কৃষিঋণ মকুব-সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে মনগড়া তথ্য পরিবেশন করেছে।
পিআইবি জানিয়েছে, এই ইউটিউব চ্যানেলগুলি একাধিক জনপ্রিয় নিউজ় চ্যানেলের নকল করে তাদের ওয়েবসাইট বানিয়েছে। যাতে কৌশলে ভুল খবরকে সাধারণ মানুষের কাছে সত্যি বলে তুলে ধরতে পারে। এ জন্য নিউজ় চ্যানেলের একাধিক পরিচিত উপস্থাপকের ছবি ও ভিডিয়ো ব্যবহার করা হত। ব্যবহার করা হত জনপ্রিয় চ্যানেলের লোগোও। যাতে তাদের পরিবেশিত কোনও খবরের সত্যতা নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় না থাকে। সাম্প্রতিক কালে পিআইবি শতাধিক এমন ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের সকলের বিরুদ্ধেই ভুল তথ্য সরবরাহের অভিযোগ ছিল।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল দুনিয়ায় মানুষের কাছে হাতের মোবাইল ফোনটি হয়ে উঠেছে ব্রহ্মাস্ত্র। হাতের মুঠোয় চলে এসেছে দুনিয়া। কিন্তু সত্যি খবরের মোড়কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হল, তা বুঝবেন কী করে? বিশেষত, যেখানে সুচতুর ভাবে জনপ্রিয় নিউজ় চ্যানেলের লোগো এবং তাদের উপস্থাপকদের ছবি ব্যবহার চলছে, তাতে এক ঝলকে দেখে সত্যি-মিথ্যে বোঝা মুশকিল। আর এ ভাবেই সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে উপভোক্তার সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়িয়ে চলেছে এই ধরনের ভুয়ো সংবাদমাধ্যম।