ফাইল চিত্র।
কাবুল-প্রশ্নে অন্ধ ভাবে আমেরিকাকে সমর্থন করে ভারত গোটা অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলল বাম দলগুলি। আজ এক যৌথ বিবৃতিতে তারা পরামর্শ দিয়েছে, আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সুদীর্ঘ কাল ধরে যুক্ত রাশিয়া, ইরান ও চিনের মতো দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলুক নয়াদিল্লি। কেরল বাদে বাকি দেশে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলা বামেদের সমালোচনাকে আদৌ আমল দিচ্ছে না নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বরং রাশিয়া, ইরান ও চিনের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেছে তারা।
বামেদের বরাবরের অভিযোগ, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কার্যত আমেরিকার ‘বি-টিম’ হয়ে কাজ করছে। এতে ভারত আঞ্চলিক রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। সিপিএম সূত্রের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের উচিত অঞ্চলের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা, যাতে আফগানিস্তানের মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে হিংসামুক্ত পরিবেশে জীবন যাপন করতে পারে। রাশিয়া, ইরান ও চিনের মতো দেশগুলি বরাবর আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগোনো উচিত নয়াদিল্লির।
মোদী সরকার বামেদের বক্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ মূলত দু’টি কারণে। কেন্দ্রীয় সূত্রের বক্তব্য, কেরল বাদ দিয়ে গোটা দেশে রাজনৈতিক ভাবে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া সিপিএম কী বলছে, তার ভিত্তিতে সাউথ ব্লক বিদেশনীতি প্রণয়ন করবে না। দ্বিতীয়ত, চিন-রাশিয়া-ইরান বিশ্বের সেই দেশগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য, যারা সরকার তৈরি হওয়ার আগেই তালিবানকে স্বীকৃতি দিয়ে বসে রয়েছে। চিন যে আজ বাদে কাল ‘আফ-পাক’ অস্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ভারতের নতুন অস্বস্তি তৈরি করবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আফগানিস্তানে এক সময়ে ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলদারি। আমেরিকা হাত তুলে নিচ্ছে দেখেই আফগানিস্তান নিয়ে মস্কো তার নিজস্ব নীতি নিয়ে চলছে। ভারতের পক্ষে রাশিয়ার ভূমিকা অবশ্যই উদ্বেগের। তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে বিদেশ মন্ত্রক যা করার করছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।