বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের উত্তাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং ভারতের সঙ্গে সংঘাতময় টানাপড়েনের মধ্যেই দৌত্য করতে ঢাকায় যাবেন বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। আপাতত স্থির আছে, ১০ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ে আলোচনা হবে। তবে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে আজ এ কথাও বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি এতটাই অস্থির যে ওই তারিখ শেষ পর্যন্ত থাকবেন না কি আলোচনার দিন কিছুটা পিছোবে, তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না। তবে শেষ পর্যন্ত বিদেশসচিব সত্যিই ঢাকায় গেলে সে দেশে হিংসা বন্ধ করে শান্তি ফেরানো এবং সংখ্যালঘুদেরনিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলা হবে নয়াদিল্লির তরফে।
এ দিকে, গত কাল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা দাবির আজ প্রতিধ্বনি করেছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভার অধিবেশনকক্ষে। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হচ্ছেন। ভারত সরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে অবিলম্বে সে দেশে শান্তিবাহিনী পাঠাতে আবেদন করুক। ভারত সরকার বাংলাদেশের প্রশ্নে চুপ কেন, তা তারাই বলতে পারবে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লোকসভায় এসে বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এ ব্যাপারে কেন্দ্র যে পদক্ষেপ করবে, আমরা তার সঙ্গে আছি। কিন্তু উদ্বেগের কারণ রয়েছে। আমাদের রাজ্যেরলাগোয়া ওই রাষ্ট্র থেকে অতীতে উদ্বাস্তুরা এসেছেন।”
যদিও মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর বলেন, “আমি ঠিক জানি না, উনি (মমতা) রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিসেনার ভূমিকার বিষয়টি পুরোপুরি বোঝেন কি না। আমি বহু বছর রাষ্ট্রপুঞ্জে শান্তিবাহিনীতে কাজ করেছি। এটা বলতে পারি যে, সংশ্লিষ্ট দেশ নিজে না-চাইলে খুব কম ক্ষেত্রেই কোনও দেশের ভিতরে শান্তিসেনা যায়।”
আজ লোকসভায় বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রশ্ন তোলেন, হিন্দু হওয়া কি অপরাধ। তাঁর কথায়, ‘‘কাঁটাতারের ও পারে (বাংলাদেশে) হিন্দু বাঙালিরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। তাঁদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।’’ আর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে চলেছে। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীর উপরে হামলা হয়েছে। চিন্ময়ের হয়ে লড়ার প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’’