ফাইল চিত্র।
কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি হোক, বিপর্যয় বা যুদ্ধ পরিস্থিতি, ভারতীয় সেনার দুই অনবদ্য হেলিকপ্টার চেতক এবং চিতা। কিন্তু এ বার এই দুই সদস্যকে অবসর দিতে চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করল সেনা।
এই দুই হেলিকপ্টার ১৯৬০-৭০ থেকে ভারতীয় সেনায় নিযুক্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এবং প্রযুক্তিও বদেলেছে। কিন্তু চেতক এবং চিতা-কে সে ভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হয়নি।
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে চিনের সঙ্গে যে ভাবে টানাপড়েন চলছে, তাতে এই দুই ‘ভিনটেজ’ কপ্টার সেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝে উঠতে পারবে না বলে মনে করছে সেনা। তাই তারা চাইছে আরও উন্নত ধরনের হেলিকপ্টার নিয়োগ করা হোক।
সেনা সূত্রে খবর, রাশিয়ার কামোভ-২২৬টি হেলিকপ্টার কেনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কিন্তু লাল ফিতের ফাঁসে পড়ে সেটাও আপাতত বিশ বাঁও জলে। সেনা সূত্রে খবর, উত্তরে ভারত-চিন সীমান্তে এবং সিয়াচেন-সালতোরো-তে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এই দুই হেলিকপ্টারের কার্যক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তা ছাড়া ২০২৩-এ এই দুই হেলিকপ্টারের প্রযুক্তির সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। ফলে তাদের জায়গায় অবিলম্বে নতুন লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার(এলইউএইচ) প্রয়োজন সেনার।
সেনা, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী গত ২০ বছর ধরে এলইউএইচ-এর দাবি জানাচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর। এই তিন সেনার হাতে মোট ৪৯৮টি হেলিকপ্টার প্রয়োজন। ১৯৭টি বরাত দেওয়া হলেও দু’বার তা বাতিল হয়েছে।
২০০টি ডবল ইঞ্জিনের কামোভ হেলিকপ্টার কেনার জন্য রায়সিয়ার সঙ্গে ভারত সরকারের চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। যার মধ্যে ১৩৫টি সেনার জন্য এবং ৬৫টি বিমানবাহিনীর জন্য। ৬০টি রাশিয়া থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসার কথা ছিল। আর ১৪০টি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস-এ তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা এখনও থমকে রয়েছে।