সীমান্তে গোলা-গুলি বর্ষণ, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন— এ সব রোজকার ঘটনা। এই অশান্তির বাতাবরণের মধ্যেও শান্তির বার্তা দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী!
গত ২৩ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পথ হারিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের চলে এসেছিল বছর তেরোর ওয়াসালত খান এবং বারো বছর বয়সি মহম্মদ ইফতিখার খান। ওরা দু’জনেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিমারি গ্রামের বাসিন্দা। টহল দেওয়ার সময় দুই কিশোরকে দেখতে পান জওয়ানরা। উদ্ধার করা হয় তাদের। গত কাল ওই দুই কিশোরকে তাংধর সেক্টর থেকে নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনার তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। এক সেনা কর্তার বক্তব্য, ‘‘ওই দুই কিশোরের ভাল ভাবে দেখভাল করা হয়েছে। আর তাদের উদ্ধার করার জন্য
সেনা যে এই তৎপরতা দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।’’
যদিও এ সবের পরেও জারি রয়েছে অশান্তি। ঘটনাস্থল উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার সোপোর। এ দিন বিকেলে একটি ব্যাঙ্কের কাছে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের লক্ষ করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতে জখম হয়েছেন চার পুলিশ। এ দিকে, রাজ ভবনের কাছে চশমাশাহি গার্ডেন এলাকায় একটি গাড়ির ভিতর থেকে এক পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কনস্টেবলের নাম শীতল সিংহ। যে গাড়িতে তাঁর দেহ মিলেছে, সেখান থেকে বেশ কিছু মদের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে অনুমান, অতিরিক্ত মদ্যাপানের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর।
আরও পড়ুন: বিমানকর্মীকে কামড়ে বিমান থেকে ঝাঁপ দিলেন যাত্রী!