ফাইল চিত্র।
অটল সুড়ঙ্গের ধাঁচেই অসমের মিসা থেকে তেজপুর পর্যন্ত সুড়ঙ্গপথ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সেনাবাহিনীর। খরচ ধরা হয়েছে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ কথা জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি জানান, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়তের সঙ্গে তাঁর এ নিয়ে কথা হয়েছে।
অরুণাচলপ্রদেশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চিন। আর অরুণাচল যেতে হলে অসমের তেজপুর হয়েই যেতে হয়। যদি নগাঁও-তেজপুর সংযোগকারী কলিয়াভোমরা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হলে সে দিক দিয়ে যোগাযোগের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। তেজপুর থেকে বমডিলা হয়ে তাওয়াং পৌঁছানো ভিন্ন ভারতীয় সেনার উপায় নেই। উল্টো দিকে অরুণাচল পৌঁছতে পাঁচটি বিকল্প রাস্তা রয়েছে চিনের দিকে। তাই আপাতত মিসা থেকে তেজপুর পর্যন্ত ১২-১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথ তৈরির পরিকল্পনা করেছে সেনাবাহিনী।
কেন্দ্র ২০১৯ সালেই ব্রহ্মপুত্রের তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ নির্মাণের পরিকল্পনায় নীতিগত ভাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে। সুড়ঙ্গটি অরুণাচল সীমানায় ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কে থাকা গোহপুর থেকে গোলাঘাটে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে থাকা নুমালিগড়কে জুড়বে। দৈর্ঘ্য হবে ১৪.৮৫ কিলোমিটার। সেখান দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলতে পারবে। অনায়াসে যেতে পারবে ভারী সাঁজোয়া গাড়ি। প্রকল্পের ‘ডিপিআর’ তৈরির ভার দেওয়া হয়েছে আমেরিকার সংস্থা লুই বার্জ়ারকে।
হিমন্ত বলেন, “রাওয়ত প্রকল্পটি নিয়ে আমাকেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। একটি সুড়ঙ্গ সফল ভাবে তৈরি হওয়ার পরে এমন আরও দু’টি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হবে অসমে।” তিনি আরও জানান, সেই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রের দুই পারে যোগাযোগের বিকল্প বাড়াতে মরিগাঁও থেকে দরং জেলা ও পলাশবাড়ি থেকে শুয়ালকুচি পর্যন্ত নতুন সেতু নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছে। কাজিরাঙার মাঝ দিয়ে যাওয়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালপুল তৈরি করে প্রাণীদের চলাফেরা বাধাহীন করা ও দুর্ঘটনায় পশুমৃত্যু ঠেকানোর জন্যে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তাতেও সম্মতি মিলেছে।