National News

বালাকোটের সময়েই মায়ানমারে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল ভারতীয় সেনা

প্রায় ১০ দিন ধরে চলা ওই অভিযানে ১০টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে সেনা সূত্রে খবর। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরাকান আর্মিদের তত্পরতা বাড়ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ১৫:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলওয়ামা হামলা ও বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে যখন দেশ জুড়ে হইচই চলছিল, ঠিক সেই সময়েই মায়ানমারে বড়সড় একটা অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, ‘অপারেশন সানরাইস’ নামে এই অভিযানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে ছিল মায়ানমারের সেনারাও। প্রথম অভিযানটি চালানো হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি, আর দ্বিতীয়টি ২ মার্চ।

Advertisement

ওই অভিযানে ১০টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে সেনা সূত্রে খবর। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরাকান আর্মিদের তত্পরতা বাড়ছিল। এই আরাকান আর্মি মায়ানমারের সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী। মিজোরাম ও মায়ানমার সীমান্তের ঘাঁটি থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল আরাকান আর্মি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে, ওই জঙ্গিগোষ্ঠী কালাদান প্রকল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার পরই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেনা।

সেনা সূত্রে খবর, দুটো পর্যায়ে অভিযান চালানো হয়। প্রথম পর্যায়ের লক্ষ্য ছিল মায়ানমার-মিজোরাম সীমান্তে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে ধ্বংস করা। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযানের লক্ষ্য ছিল নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং)-এর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া। সেনার স্পেশাল ফোর্স, অসম রাইফেলসের সঙ্গে মায়ানমার সেনা এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল। সেনা সূত্রে খবর, ড্রোন, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে জঙ্গিদের গতিবিধি নজর রাখা হচ্ছিল। জঙ্গিদের খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করার পরই হামলা চালানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: আমরা সবাই সুস্থ, ভাল আছি, বালাকোট বোমাবর্ষণে কোনও ক্ষতি হয়নি: মাসুদ আজহার

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সেনা সূত্রে খবর, চিন সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারের কাচিন প্রদেশে গত দু’বছর ধরে আরাকান আর্মিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি। প্রায় ৩ হাজার ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তার পর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় মায়ানমারের দক্ষিণ সীমান্তে। সেখান থেকেই ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত আরাকান আর্মির সদস্যরা। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার পিছনে চিনের হাত রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

কালাদান প্রকল্পকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে আরাকান জঙ্গিরা, গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসার পরই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেনা। ভারত ও মায়ানমার, দুই দেশের ক্ষেত্রেই কালাদান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মায়ানমারের সিতে বন্দরের সঙ্গে মিজোরাম হয়ে কলকাতা সংযুক্ত হবে। এই প্রকল্প চালু হলে কলকাতার থেকে মিজোরামের দূরত্ব প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার কমে যাবে।

এর আগে ২০১৭-য় ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনার প্যারা-কম্যান্ডো বাহিনী। ওই অভিযানে নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং)-এর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছিল।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement