—ফাইল চিত্র
গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা নাগাল্যান্ড-মণিপুর সীমানায় জুকো পাহাড়ের দাবানল নেভাতে শেষ পর্যন্ত কাজে লাগানো হল বায়ুসেনার হেলিকপ্টারকে। জনপ্রিয় ট্রেকিং রুট ও পর্যটনস্থল জুকো উপত্যকা লাগোয়া জুকো পাহাড়ে ট্রেকিং রুটের কাছেই মঙ্গলবার আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে। নাগাল্যান্ড সরকার বায়ুসেনার সাহায্য চাইলে আজ একটি এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারকে কাজে লাগানো হয়।
বায়ুসেনার মুখপাত্র উইং কমান্ডার রত্নাকর সিংহ জানান, আগুন নেভানোর জন্য বিশেষ বাম্বি বাকেট লাগানো হেলিকপ্টার জুকো পাহাড়ে পাঠানো হয়েছে। নাগাল্যান্ড প্রশাসন জানায়, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরাও আগুন ছড়িয়ে পড়া রুখতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি গেড়ে কাজ করছেন। আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করছে সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলসও। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ হেলিকপ্টারে চড়ে দাবানলের অবস্থা ঘুরে দেখেন। জানান, মাও এলাকার দিক থেকে মাউন্ট খুঘোর আগুন দৃশ্যমান। তা দ্রুত এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই তা মণিপুরের উচ্চতম শৃঙ্ঘ মাউন্ট আসলি পার করেছে। যদি দক্ষিণমুখী বাতাস বইতে থাকে তাহলে শীঘ্রই আগুন ছড়িয়ে পড়বে মণিপুরের সবচেয়ে ঘন অরণ্য অঞ্চল কোঝিরিতে। তিনিও আগুন নেভাতে সাহায্যের আবেদন জানান। বুধবার নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল আর এন রবি সপরিবার জুকো উপত্যকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় তাঁদের ঘুরপথে গাড়ির কাছে নিয়ে আসা হয়। সারাক্ষণ ঝোড়ো হাওয়া চলছে পাহাড়ে। তাই স্বেচ্ছাসেবী ও বনকর্মীরা আগুনের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই পরপর পাহাড়ে তৃণভূমি, গাছপালা সব পুড়ে ছাই।