বিদেশ সচিব বিজয়কেশব গোখলে।
নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারতীয় বায়ুসেনা। পুলওয়ামা হামলার প্রত্যাঘাতে মারা গিয়েছে অনেক জইশ ই মহম্মদের সিনিয়র কমান্ডাররাও। সরকারি বিবৃতিতে জানালেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সচিব বিজয়কেশব গোখলে।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে হামলা চালায় বায়ুসেনা। তাতে ৩০০ জঙ্গি নিকেশ করে সেনা। এর পরই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন-সহ উচ্চ পদস্থ মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকের পরই এই সরকারি বিবৃতি দেন বিদেশ মন্ত্রক সচিব বিজয়কেশব গোখলে।
বিদেশ সচিব একে ‘নন-মিলিটারি প্রিএমটিভ অ্যাকশন’ বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সেনা গোয়ান্দাদের কাছে খবর ছিল পাকিস্তান ভারতের উপর হামলা চালাতে পারে। এই সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধের উদ্দেশেই ভারতের এই সেনা অভিযান।
ভারত পাক সম্পর্কের উত্থান পতন সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন?
আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাতের কয়েকঘণ্টা পরই ভারতের আকাশে পাক-ড্রোন, গুলি করে নামাল সেনা
আরও পড়ুন: পুলওয়ামার প্রত্যাঘাত, এই যুদ্ধবিমান দিয়েই আজ পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান ভারতের
সরকারি বিবৃতিতে বিদেশ সচিব জানান, এই প্রত্যাঘাতে মারা গিয়েছে জইশ ই মহম্মদের অনেক সিনিয়র কমান্ডার। বালাকোটে সবচেয়ে বড় জইশ জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। সেটা সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে ভারত। বায়ুসেনার এই প্রত্যাঘাতে বহু জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এই জঙ্গি ঘাঁটিগুলো পরিচালনা করত জইশ ই মহম্মদের জঙ্গি নেতা ইউসুফ আজহার। সে মাসুদ আজহারের শ্যালক। হামলার তারও মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশ সচিব।
গত দু’দশক ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে এবং পাকিস্তানেরও বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি সংগঠনগুলো সক্রিয় ছিল। ভারত একাধিকবার এ বিষয়ে প্রমাণ-সহ নথি পাকিস্তানকে তুলে দিয়েছে। অনুরোধ করেছে অবিলম্বে ওই পরিকাঠামোগুলোকে ধ্বংস করার। কিন্তু পাকিস্তান সে অনুরোধে কান দেয়নি। বিদেশ সচিব জানান, সে জন্যই এই পদক্ষেপটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল।