Air Force

‘চিনকে রুখতে তৈরি বায়ুসেনা’

লাদাখ সীমান্তবর্তী চিনের এয়ারস্ট্রিপগুলির সমুদ্রতল থেকে উচ্চতা, উত্তর ভারত বা শ্রীনগর বিমানবন্দরের উচ্চতার তুলনায় অনেকটাই বেশি। কম উচ্চতা থেকে ওড়ার কারণে ভারতীয় যুদ্ধবিমান অনেক বেশি জ্বালানি তেল ও অস্ত্র-বোমা নিয়ে উড়তে সক্ষম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ০৪:০৩
Share:

ছবি: পিটিআই।

সীমান্তের ওপারে প্রস্তুত রয়েছে চিনের জে-২০ পঞ্চম প্রজন্মের আধুনিক যুদ্ধবিমান। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বসানো হয়েছে আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে ভারতীয় বায়ুসেনা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে আজ দাবি করলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভদৌরিয়া। তাঁর দাবি, চিন কেন, দরকারে চিন যদি পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটির সাহায্যও নেয় তা হলেও লড়ার জন্য প্রস্তুত বায়ুসেনা।

Advertisement

আগামী ৮ অক্টোবর বায়ুসেনা দিবস। এই পরিস্থিতিতে এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ভদৌরিয়া বলেন, ‘‘লাদাখ সীমান্তে পঞ্চম প্রজন্মের বিমান, আধুনিক রাডার বসিয়েছে চিন। মোতায়েন করেছে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ওরা শক্তিশালী কারণ যে পরিমাণ অর্থ চিন এ খাতে বিনিয়োগ করে তা প্রচুর। কিন্তু দক্ষতার প্রশ্নে ভারতীয় বায়ুসেনাও চিনের থেকে কম নয়।’’

লাদাখে ইতিমধ্যেই সুখোই-৩০, জাগুয়ার ও মিরাজ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভদৌরিয়া বলেন, ‘‘লাদাখ একটি ছোট জায়গা। সেখানে আমাদের অল্পসংখ্যক বিমান রয়েছে। কিন্তু লাদাখকে কেন্দ্র করে একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বিমান মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।’’ সেনা সূত্রের মতে, লাদাখের উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে উত্তর ভারত তো বটেই, পূর্ব ভারত এমনকি মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত সব বায়ুসেনা ঘাঁটিকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে। যাতে লাদাখ সীমান্ত দিয়ে চিন হামলা চালালে দ্রুত ও কার্যকরী প্রতিআক্রমণ শানানো সম্ভব হয়। একইসঙ্গে রাফালের অন্তর্ভুক্তির ফলে শত্রু দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চকিতে কার্যকর হামলা করার শক্তি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ভদৌরিয়া।

Advertisement

লাদাখ সীমান্তবর্তী চিনের এয়ারস্ট্রিপগুলির সমুদ্রতল থেকে উচ্চতা, উত্তর ভারত বা শ্রীনগর বিমানবন্দরের উচ্চতার তুলনায় অনেকটাই বেশি। কম উচ্চতা থেকে ওড়ার কারণে ভারতীয় যুদ্ধবিমান অনেক বেশি জ্বালানি তেল ও অস্ত্র-বোমা নিয়ে উড়তে সক্ষম। তাই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকার স্কার্দু বিমানঘাঁটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বেজিং-এর। ইতিমধ্যেই কয়েক প্রস্থ মহড়াও ওই ঘাঁটি থেকে চালিয়েছে তারা। ভদৌরিয়া বলেন, ‘পাক বিমানঘাঁটি ‘চিন ব্যবহার করবে কি না তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যুদ্ধের পরিস্থিতিতে স্কার্দু ব্যবহারের অর্থ হল অশুভ আঁতাঁতের মাধ্যমে যৌথ বিপদের আশঙ্কা তৈরি হওয়া। আমরা উভয় শক্তির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।’’ দেরি করে তৎপর হওয়ার অভিযোগ খারিজ করে ভদৌরিয়া বলেন, ‘‘ফি গরমে যুদ্ধাভ্যাস করে চিন। এ বার যে তারা এমন করবে তা বোঝা যায়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement