মালাবার নৌ মহড়া। ফাইল চিত্র।
তেরো বছর পরে মালাবার নৌ মহড়ায় যোগ দিতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য এবং আগ্রাসন কমানোর জন্য সক্রিয় জাপান ও আমেরিকা জোট বেঁধেছিল ভারতের সঙ্গে। শুরু হয়েছিল মালাবার ত্রিদেশীয় নৌ মহড়া। গোটা পরিকল্পনাটি ছিল কৌশলগত ভাবে চিনকে জলপথে চাপে রাখার জন্য। পরে মূলত আমেরিকার উদ্যোগে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া যোগ দেয় এই মহড়ায়। কূটনৈতিক চ্যানেলে বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে আপত্তি জানিয়েছিল চিন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চিনের জলপথে শত্রুতা দীর্ঘ দিনের। চিনকে চটাতে না চেয়ে ভারতও বিষয়টি নিয়ে আর উৎসাহ দেখায়নি।
সূত্রের খবর, গালওয়ান উপত্যকার পরে চিন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে সাউথ ব্লকের। গত মাসে মালাবার মহড়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই বৈঠকে দু’দেশ তাদের সম্পর্ককে সামগ্রিক কৌশলগত সম্পর্কের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। কূটনীতিকদের মতে, চিনের স্পর্শকাতরতার দিকটি নিয়ে আর ভাবার অবকাশ নেই ভারতের। নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টিই এখন অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে।
আরও পড়ুন: ছুঁয়ে দেব! ভয় দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করোনা-আক্রান্ত ১৭৬ কয়েদির, ফেরাল বুলেট
একই ভাবে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া একটি চতুর্দেশীয় অক্ষ তৈরির পরেও চিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। সেই অক্ষ তৈরি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা নিয়ে কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, এখন এই অক্ষকেও জাগিয়ে তোলার জন্য সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে।