Chinook

Indian Army: আমেরিকার কপ্টার, কামান সঙ্গী করেই অরুণাচল সীমান্তে চিনকে ঠেকানোর প্রস্তুতি

আশির দশকের রুশ ভারী পরিবহণ কপ্টার এমআই-২৬-এর পরিবর্ত হিসেবে বছর কয়েক আগে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আনা হয়েছিল চিনুক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইটানগর শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১৯
Share:

চিনুক হেলিকপ্টার।

লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় চিনের মোকাবিলায় নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা ঢেলে সাজছে ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে আধুনিক অস্ত্রসম্ভার এবং নজরদারি সরঞ্জাম মোতায়েনের উপর। আর সেই অস্ত্রের বড় অংশ সরবরাহকারী রাষ্ট্রের নাম আমেরিকা।

Advertisement

সেনা সূত্রের খবর, অরুণাচলের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুর্গম সেনাঘাঁটিগুলিতে মোতায়েনের জন্য আনা হয়েছে এম-৭৭৭ হাউইৎজার। সেগুলি দ্রুত পৌঁছনোর চিনুক হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা আছে। ঘটনাচক্রে, দু’টিরই নির্মাতা আমেরিকা। পাশাপাশি, আমেরিকায় তৈরি এসআইজি-৭১৬-আই স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, এম-৪ কার্বাইন, ব্যাটেট এম-৮২ ভারী রাইফেলের মতো অস্ত্রও সঙ্গী ভারতীয় সেনার।

আমেরিকার বিএই সংস্থার তৈরি ১৫৫ মিলিমিটার (৩৯ ক্যালিবার)-এর এম-৭৭৭ আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর অন্যতম হাতিয়ার ছিল। বিশ্বে এটাই প্রথম ১৫৫ মিলিমিটার কামান, যার ওজন ৪,২১৮ কিলোগ্রামের কম। ফলে ভারী পরিবহণ হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা যায় সহজেই। ২৪ থেকে ৪০ কিলোমিটার পাল্লার মোট চার ধরনের গোলা ব্যবহার করা যায় এই কামানে।

Advertisement

আশির দশকের রুশ ভারী পরিবহণ কপ্টার এমআই-২৬-এর পরিবর্ত হিসেবে বছর কয়েক আগে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আনা হয়েছিল চিনুক। আমেরিকার সংস্থা বোয়িং-এর তৈরি এই কপ্টারগুলি গত শীতে লাদাখের দুর্গম সেনাঘাঁটিগুলিতে অস্ত্র ও রসদ পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

সেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ১৯৬২ সালে অরুণাচলের তাওয়াংয়ে যে এলাকাগুলি দিয়ে চিনা ফৌজ হামলা চালিয়েছিল, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ড্রোনের পাশাপাশি নজর ব্যবহার করা হচ্ছে উপগ্রহ প্রযুক্তিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement