প্রতীকী ছবি।
কোভিড-১৯ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্যের কথা ঘোষণার পরই আমেরিকার বায়োটেক সংস্থা মডার্না-র সঙ্গে এ নিয়ে কথা শুরু করেছে ভারত। সোমবার এমনটাই দাবি করেছে সরকারি এক সূত্র।
ওই সূত্রের খবর, শুধু মাডার্না-ই নয়, অন্যান্য ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট, যেমন ফাইজার, সিরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক এবং জাইডাস ক্যাডিলা-র সঙ্গেও আলোচনা চালানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই সংস্থাগুলোর টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কতটা এগিয়েছে, সেগুলো কতটা নিরাপদ, প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে কতটা সক্ষম এবং টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে কিনা— সব কিছু নিয়েই আলোচনা চালাচ্ছে হচ্ছে বলেও ওই সূত্রের দাবি। তবে ২০১৯-এর ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস-এর নতুন নিয়ম বলছে, ভারতের বাইরে কোনও ওষুধ বা টিকার পরীক্ষা হলেও এবং সেখানে ড্রাগ নিয়ামকের ছাড়পত্র মিললেও, নিরাপত্তার খাতিরে সেই ওষুধ বা টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিতে হবে ভারতেও।
কয়েক দিন আগেই ফাইজার ঘোষণা করেছিল, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী। সেই ঘোষণার পর পরই সোমবার মডার্না-ও তাদের টিকার সাফল্যের কথা প্রকাশ্যে আনে। সংস্থাটি ঘোষণা করে, তাদের তৈরি করোনা টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। মডার্না-র সিইও এ প্রসঙ্গে বলেন, “এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। গত জানুয়ারি থেকেই করোনার টিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছি আমরা। এই টিকা তৈরি করে যত দ্রুত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় সেই লক্ষ্যেই এগিয়েছি।”
আরও পড়ুন: দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৩০ হাজারের নীচে, চার মাসে দেশে সর্বনিম্ন