Dam on Brahmaputra River

স্বার্থরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে নয়াদিল্লি! ব্রহ্মপুত্রের উপর চিনের বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বিবৃতি দিল ভারত

চিন নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়াললুং জাংবো (তিব্বতি ভাষায় ব্রহ্মপুত্র যে নামে পরিচিত) নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধটি তৈরি হতে চলেছে। ভারত সীমান্তের অনতিদূরে তৈরি করা হচ্ছে সেটি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৮
Share:

ব্রহ্মপুত্রের উপর চিনের বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বিবৃতি দিল ভারত। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উপরে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ তৈরি করতে চলেছে চিন। ভারতের নাকের ডগায় এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে এ বার মুখ খুলল নয়াদিল্লি। আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রথম। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা নজর রেখে চলেছি এবং আমাদের স্বার্থরক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।” বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বেজিং নয়াদিল্লিকে আশ্বস্ত করে বলেছে যে, উচ্চ অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্রহ্মপুত্রের নিম্ন অববাহিকায় কোনও ক্ষতি হবে না।

Advertisement

সম্প্রতি চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানায়, এই নদীবাঁধ প্রকল্পে ছাড়পত্র দিয়েছে সে দেশের সরকার। চিন নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়াললুং জাংবো (তিব্বতি ভাষায় ব্রহ্মপুত্র যে নামে পরিচিত) নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধটি তৈরি হতে চলেছে। ভারত সীমান্তের অনতিদূরে তৈরি করা হচ্ছে বাঁধটি।

চিনের এই প্রকল্প চিন্তায় রাখছে ভারতকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চিন ব্রহ্মপুত্রের বাঁকে বাঁধটি তৈরি করতে চলেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের জল নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বেজিং। আর তাতেই চিন্তায় পড়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ। চিনের বাঁধ ব্রহ্মপুত্রের স্বাভাবিক প্রবাহকে রুখে দিয়ে বর্ষায় উজানের দিকে আরও জল ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার শুখা মরসুমে জলের অভাবও দেখা যেতে পারে।

Advertisement

তা ছাড়া ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে ব্রহ্মপুত্র দু’টি পাতের সংযোগস্থলে অবস্থিত। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলও ভূকম্পপ্রবণ। ফলে সংবেদনশীল ওই এলাকায় নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহকে কৃত্রিম উপায়ে বাধা দেওয়া হলে ভূমিকম্পের আশঙ্কাও থেকে যায়। চিন অবশ্য জানিয়েছে, তাদের তৈরি বাঁধ পরিবেশগত কোনও ক্ষতি করবে না। বাঁধ নির্মাণের সময় বাস্তুতন্ত্রের দিকেও খেয়াল রাখা হবে বলে জানিয়েছে বেজিং।

‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে বাঁধটি তৈরি করতে ১৩৭ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা) খরচ হতে পারে। বিশ্বের আর কোনও প্রকল্পে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement