প্রতীকী ছবি।
সীমান্ত এবং জলপথে চিনের সঙ্গে সংঘাত অব্যাহত ঠিকই। কিন্তু কোভিড টিকাকে পেটেন্টমুক্ত করে রাষ্ট্রগুলির কাছে সহজলভ্য করার জন্য চিনের সঙ্গে সহযোগিতার পথেই হাঁটতে চাইছে ভারত। সূত্রের খবর এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বেজিংও।
গত কাল ব্রিকস সম্মেলনে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বহুপাক্ষিক সম্মেলনের শেষে যে মস্কো-বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতেও ইঙ্গিত রয়েছে যে কোভিডের টিকা যাতে সমস্ত দেশের আর্থিক সামর্থ্যের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য এই গোষ্ঠী (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) একসঙ্গে কাজ করবে।
পরশু, শুক্রবার বসছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস (ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্টস অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস) পরিষদের বৈঠক। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই যৌথ ভাবে উপরিউক্ত প্রস্তাবটি রেখেছে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রস্তাব সমর্থন করার ব্যাপারে গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় রাশিয়া এবং চিনের মুখাপেক্ষী ভারত। প্রধানমন্ত্রী কাল বলেছেন, “ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা কোভিড টিকা এবং অন্যান্য প্রতিরোধমূলক সাজসরঞ্জামকে পেটেন্টমুক্ত রাখার জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আশা করব ব্রিকসভুক্ত অন্য রাষ্ট্রগুলি এই প্রস্তাবকে সমর্থন করবে।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং গত কাল ব্রিকস বৈঠকে বলেছেন, “চিনের সংস্থাগুলি রাশিয়া এবং ব্রাজিলের অংশীদার সংস্থাগুলির সঙ্গে কোভিড টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল-এর তৃতীয় পর্যায়ের কাজ করছে। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’’
ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা যে প্রস্তাবটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, পেটেন্ট ছাড়াও অন্য মেধাস্বত্ত্ব সংক্রান্ত আইনগুলি টিকা আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে টিকা হাতে পেতে বিভিন্ন আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা হতে পারে উন্নয়নশীল দেশগুলির। টিকার দামেও তার প্রভাব পড়তে পারে।