রাষ্ট্রপুঞ্জ সাধারণ পরিষদ— ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের কর্তৃত্ব এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তা পরিষদ অকেজো অঙ্গে পরিণত হয়েছে। আচরণগত নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ করতেও ব্যর্থ হয়েছে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে তিরুমূর্তি অভিযোগ করেন, আন্তঃরাষ্ট্র সরকারি স্তরের বৈঠক (আইজিএন)- গুলি প্রায়শই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়। সেখানে কার্যকরী পদক্ষেপের দিশানির্দেশ খোঁজার চেয়েও বেশি গুরুত্ব পায় পারস্পরিক চাপানউতোর।
গত জুন মাসে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারত পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একাধিক বার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন ভারতের প্রতিনিধি। কিন্তু তাতে কোনও ফলই মেলেনি। পাশাপাশি, মূলত চিনের বাধায় বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ (জনসংখ্যার নিরিখে) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবি নিয়েও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ হয়নি।
আরও পড়ুন: দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৩০ হাজারের নীচে, চার মাসে দেশে সর্বনিম্ন
প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ৫টি ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র রয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। বাকি ১০টি দেশ ২ বছরের জন্য সদস্য নির্বাচিত হয়। শুধু ভারত নয়, ব্রাজিল এবং জাপানের মতো দেশও নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সদস্য-কাঠামো সংস্কারের দাবি তুলেছে।
আরও পড়ুন: জাতের অঙ্কেই নয়া মন্ত্রিসভা বিহারে, প্রাধান্য পিছড়ে বর্গের
গুরুমূর্তির কথায়, ‘‘গত এক দশক ধরে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের বিষয়টি বার বার আইজিএন-এর আলোচনায় এলেও তার কোনও অগ্রগতি হয়নি।’’ এমনকি, সেই সব বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলির রেকর্ড-ও ঠিক ভাবে সংরক্ষিত হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণ পরিষদ নির্ধারিত বিধিগুলি আইজিএন যাতে অনুসরণ করে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’’
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভিডিয়ো বক্তৃতায় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘আর কত দিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে? আর কত দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বাইরে থাকবে ভারত?’’