প্রতীকী ছবি।
দেশে করোনার সংক্রমণ যখন প্রাথমিক পর্যায়ে, কোভি়ড-১৯ পরীক্ষায় সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী শৌভিক মাইতি ও দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। তাঁরা একটি ‘পেপার স্ট্রিপ’ তৈরি করেন যা কয়েক মিনিটেই চিহ্নিত করতে পারে কোনও ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত কি না। নতুন সেই টেস্ট কিটের তাঁরা নাম দিয়েছিলেন ‘ফেলুদা’, সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র।
শৌভিক এবং দেবজ্যোতি দু’জনেই কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ-এর ইনস্টিটিউট অব জেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি (সিএসআইআর-আইজিআইবি)-তে কর্মরত। শনিবার এই দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর ‘ফেলুদা’ টেস্ট কিটের বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।
এই টেস্টের নাম 'ফেলুদা' কেন, সে প্রসঙ্গে জানিয়েছেন দেবজ্যোতি। মে-তে এক সাক্ষাৎকারে দেবজ্যোতি জানিয়েছিলেন, তিনি সত্যজিৎ রায়ের এক জন গুণমুগ্ধ ভক্ত। তাঁর স্ত্রীই এই নামটি দিয়েছেন। তা ছাড়া ‘এফএনসিএএস৯ এডিটর লিঙ্কড ইউনিফর্ম ডিটেকশন অ্যাসে’, যাকে সংক্ষেপে ‘ফেলুদা’ বলা হয়। সেই সূত্র ধরেও এই টেস্ট কিটের নামকরণ।
আরও পড়ুন: পথ আটকে চিনা ফৌজ, দেপসাংয়ে ব্যাহত টহলদারি
সার্স কোভ-২ ভাইরাস জেনোমিক সিকোয়েন্সকে চিহ্নিত করতেই ‘সিআরআইএসপিআর’ প্রযুক্তিসম্পন্ন এই টেস্ট। আরটি-পিসিআর পরীক্ষার তুলনায় অনেক কম খরচ এই ‘ফেলুদা’ টেস্টে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে যেখানে বেসরকারি ল্যাবগুলোতে সাড়ে ৪ হাজার টাকা লাগে, সেখানে ‘ফেলুদা’ টেস্টের খরচ মাত্র ৫০০ টাকা।
সিএসআইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল শেখর সি মানডে সংবাদ সংস্থা ‘দ্য প্রিন্ট’-কে বলেছেন, “এই পেপার স্ট্রিপটি অনেকটা প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের মতোই। এর জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এটা ১০০ শতাংশ নিখুঁত।”