প্রতীকী ছবি
সরকারি নীতির সংশোধন করে বিদেশ থেকে পাম তেলের আমদানি ‘অবাধ’ থেকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ তালিকায় নিয়ে এল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। আপাতদৃষ্টিতে এটিকে বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হলেও রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, মালয়েশিয়াকে ‘শিক্ষা দেওয়ার’ জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। তবে মালয়েশিয়া লক্ষ্য হলেও এই সিদ্ধান্তের জেরে নেপালের সঙ্গে সম্পর্কে অদূর ভবিষ্যতে তিক্ততা তৈরি হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর থেকে লাগাতার মোদী সরকারের প্রকাশ্য সমালোচনা করে চলেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদ। সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপূঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে ভারতের কাশ্মীর নীতির প্রবল বিরোধিতা করে মহাথির বলেছিলেন, ‘জোর করে’ কাশ্মীরের ভূখণ্ড ‘দখল’ করে রেখেছে ভারত। ভারত কড়া বিবৃতি দেওয়ার পরেও পিছু হঠার নাম করেননি মহাথির। বরং সমালোচনা করেছেন ভারতের নয়া নাগরিকত্ব আইনের। বিতর্কিত মুসলিম ধর্মগুরু জাকির নায়েকে ভারতে ফেরানোর জন্য মালয়েশিয়া কিছু করছে না বলে এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিল সাউথ ব্লক।
মালয়েশিয়া পাম তেল উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারিতে। গত বছরের প্রথম ছ’মাসের পাওয়া হিসাব অনুসারে, ৯০ কোটি ডলারের পাম তেল সে দেশ থেকে আমদানি করেছে ভারত। মালয়েশিয়াকে শিক্ষা দিতে সেই পরিমাণ কমানো হবে বলে চিন্তাভাবনা চলছিলই। আজ বাণিজ্য মন্ত্রকের নোটিসে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করার আগে দেখে নেওয়া হয় যে সেই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন। সম্পর্কের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তার উপরে বাণিজ্য অনেকটাই নির্ভর করে।’’
পাম তেল উৎপাদনে বিশ্বে মালয়েশিয়ার পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া এবং নেপাল। নীতি পরিবর্তনের ফলে প্রতিবেশী দেশ নেপাল থেকেও আমদানি ‘নিয়ন্ত্রিত’ রাখার কথা। বিষয়টি অবশ্য আজ স্পষ্ট করা হয়নি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।