Jammu And Kashmir

কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফেরাল ভারত

ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে তৃতীয় কারও হস্তক্ষেপ চায় না দিল্লি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:১৯
Share:

কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় কারও সঙ্গে আলোচনায় যেতে চায় না ভারত। —ফাইল চিত্র।

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক বার তাঁর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেসের মধ্যস্থতার প্রস্তাবও খারিজ করল দিল্লি। জানি।য়ে দিল, এ ব্যাপারে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। বরং কাশ্মীর নিয়ে মাথা ঘামানোর বদলে, পাকিস্তান বেআইনি ভাবে ভারতের যে অঞ্চল দখল করে রেখেছে, রাষ্ট্রপুঞ্জকে তা মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

রবিবার চারদিনের সফরে পাকিস্তান পৌঁছেছেন অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেস। সে দেশে পা রেখেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন তিনি। তার পর সাংবাদিক বৈঠক করার সময়ই কাশ্মীর এবং বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গুতেরেস বলেন, ‘‘কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে চলা সঙ্ঘাত নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আমি। শুরু থেকেই এ ব্যাপারে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। দুই দেশ রাজি থাকলে এ নিয়ে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আমি।’’ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেরই আরও সংযত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন গুতেরেস।

নয়াদিল্লির তরফে অবশ্য গুতেরেসের প্রস্তাব পত্রপাঠ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘নিজের অবস্থান থেকে একচুলও সরে আসেনি ভারত। জম্মু-কাশ্মীর চিরকাল ভারতের অখণ্ড অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। গায়ের জোরে, বেআইনি ভাবে পাকিস্তান যে অঞ্চলগুলিকে দখল করে রেখেছে, সেগুলিকে মুক্ত করতে বরং পদক্ষেপ করা হোক।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ভোট যাকেই দিন সবার মুখ্যমন্ত্রী আমি’, মোদীকেও চান কেজরীবাল

ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলি নিজেরাই মিটিয়ে নেবে এবং এ ব্যাপারে তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন রবীশ কুমার। তাঁর মতে, এর চেয়ে জম্মু-কাশ্মীর-সহ একাধিক অঞ্চলে সীমান্ত সন্ত্রাস চালানোয় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন গুতেরেস।

আরও পড়ুন: রোনায় মৃত প্রায় ১৭০০, চিন বলছে ক্রমশ ‘কমছে’ আক্রান্ত

সন্ত্রাস দমনে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বাতিল করে আসছে ভারত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালালে, তার পাল্টা বালাকোট এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সঙ্ঘাত পরিস্থিতি দেখা দেয়। তার মধ্যেই গত বছর অগস্টের শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে উপত্যকাকে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তান। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টাও চালিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে এখনও পর্যন্ত তাতে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেনি তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement