অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের কাছে সেলা টানেলে থাকবে ক্ষেপণাস্ত্র মজুতের ব্যবস্থা। ফাইল চিত্র।
উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যতের যুদ্ধের প্রস্তুতি! সীমান্তে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের আশঙ্কায় কি পুরোদস্তুর যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এমনটাই মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ওই খবর জানাচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবহারের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র অদূরে নির্মীয়মাণ সড়ক-সুড়ঙ্গগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত করার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে! আগামী দিনে যে সুড়ঙ্গগুলি তৈরি হবে, সেখানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার বিশেষ পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে। ‘বহুমুখী টানেল’ গড়ার এই পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্বে থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)।
জাতীয় সড়কে যুদ্ধবিমান অবতরণের মহড়া। ফাইল চিত্র।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা থেকে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষা করার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি। আগামী বছর অরুণাচল প্রদেশের বালিপাড়া-চারদুয়ার-তাওয়াং এলাকার সেলা, নেচিফুর মতো যে সুড়ঙ্গগুলি সাধারণের চলাচলের জন্য খোলা হবে, সেগুলিতে এমন ব্যবস্থা থাকবে। প্রসঙ্গত, অধিকৃত তিব্বতের রাজধানী লাসার অদূরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুতের জন্য বোমা প্রতিরোধী ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ বানিয়েছে চিনা সেনা। একই কৌশল নেওয়া হয়েছে লাদাখের ডেমচকের গার গুনসা ঘাঁটিতেও।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে কয়েক বছর আগেই উত্তর ভারতের বিভিন্ন এক্সপ্রেসওয়েতে রানওয়ে গড়া হয়েছে। সেখানে বায়ুসেনার ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস, যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ এমকেআই উড়ানের সফল মহড়াও হয়েছে একাধিক বার। এ বার সেই কৌশল বদলের পথ ধরেই আসছে সড়ক-সুড়ঙ্গের অস্ত্রাগার।