প্রতীকী ছবি।
শিখ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ নিয়ে বিবাদে জড়াল ভারত ও পাকিস্তান। পাক সরকার তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে দেয়নি বলে দাবি দিল্লির। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তাদের পাল্টা দাবি, নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়েই ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে তীর্থযাত্রীদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ভারত অকারণে পাকিস্তানকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে।
বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়েছেন প্রায় ২ হাজার শিখ তীর্থযাত্রী। সেখানে পাঞ্জা সাহিব গুরুদ্বার ও নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে প্রার্থনা করেছেন তাঁরা। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, প্রতি বার প্রথা মাফিক এই তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে থাকে ভারতীয় হাইকমিশনের দল। কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্যই এই ব্যবস্থা।
দিল্লির দাবি, তিন বার তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। পঞ্জাব সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার পরে প্রথম স্টেশন ওয়াঘা। সেখানে তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় হাইকমিশনের দলকে। পাঞ্জা সাহিবে যাওয়ার কথা ছিল খোদ ভারতীয় হাইকমিশনারের। ‘নিরাপত্তাজনিত’ কোনও অজ্ঞাত কারণে তাঁকে মাঝরাস্তা থেকে ফিরে আসতে বলা হয়। গত কালও হাইকমিশনের দলকে তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি। ইসলামাবাদের পাল্টা দাবি, মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে ভারত। পাঞ্জা সাহিবে ভারতীয় হাইকমিশনারকে নিয়ম মেনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু পাঞ্জা সাহিবের দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্তারা দেখেন, ভারতে গুরু নানকের জীবন নিয়ে তৈরি একটি ছবির মুক্তি নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা শিখেদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। ফলে ‘দ্বিপাক্ষিক’ সমঝোতার ভিত্তিতেই হাইকমিশনারের সফর বাতিল হয়।