অনেক টিকার ট্রায়াল শেষের পথে ফাইল চিত্র।
দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য টিকাকরণ ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে দেশে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও স্পুটনিক ভি টিকার ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের মধ্যেই ভারতে অন্তত আরও ৬টি টিকার ব্যবহার শুরু হতে পারে বলেই খবর।
পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ডের পাশপাশি কোভোভ্যাক্স নামের একটি টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে। আমেরিকার সংস্থা নোভাভ্যাক্স এই টিকা তৈরি করেছে। তাদের সঙ্গে মিলেই কাজ করছে সিরাম।
পুণের আরও একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জেন্নোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এইচজিসি০১৯ নামের একটি টিকা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই এই টিকার প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
গুজরাতের জাইডাস ক্যাডিলা নামের সংস্থা জাইকভ-ডি নামের কোভিড টিকা উৎপাদন করেছে। এই মুহূর্তে শিশুদের শরীরে তার ট্রায়াল চলছে। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার শুরু করার জন্য শীঘ্রই কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা।
অন্য দিকে হায়দরাবাদের বায়োলজিক্যাল ই নামের একটি সংস্থা তিনটি টিকা তৈরির কাজ চালাচ্ছে। কোর্বেভ্যাক্স নামের একটি টিকা উৎপাদন করেছে তারা। এই মুহূর্তে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। শুধু কোর্বেভ্যাক্স নয়, বায়োলজিক্যাল ই কানাডার এক সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে পিটিএক্স-কোভিড১৯-বি নামের একটি টিকা উৎপাদনের কাজও শুরু করেছে। সেই সঙ্গে জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড টিকা জ্যানসেনকে ভারতে উৎপাদন করার কাজও শুরু করেছে বায়োলজিক্যাল ই।
এ ছাড়া ভারতের আরও অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে করোনার টিকা তৈরির পথে এগোচ্ছে। তাই আগামী দিনে ভারতে আরও বেশি কোভিড টিকার ব্যবহার শুরু হতে পারে।