প্রতীকী ছবি।
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও-এর ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ক’দিন আগে ভোট প্রচারেও দাবি করেছেন, ভারতে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলিতেই নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বুধবার ওয়র্ল্ড ইকনমিক ফোরাম লিঙ্গ-ব্যবধানের যে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, তাতে ভারতের স্থান ২৮ ধাপ নেমে ১৫৬-র মধ্যে ১৪০-এ দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী টুইট করে অভিযোগ করেন, সঙ্ঘের মানসিকতা অনুসরণ করেই মহিলাদের দুর্বল করা হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে শুধু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানই ভারতের পিছনে। বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা নেপাল— ভারতের আগে। তবে উল্লেখ্য, সামগ্রিক ভাবে দক্ষিণ এশিয়া রয়েছে পিছনের দিকেই। একমাত্র পশ্চিম এশিয়া আর উত্তর আফ্রিকার অবস্থাই দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ে বেশি খারাপ।
লিঙ্গ-ব্যবধান সমীক্ষায় দেখা হয়— রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সুযোগ-বিন্যাস, স্বাস্থ্য ও আয়ু এবং শিক্ষা— এই চারটি ক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষের ব্যবধান কতখানি। এর মধ্যে ভারতের ফল বেশি খারাপ হয়েছে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে। স্বাস্থ্য সারণিতে ভারতের স্থান ১৫৬-র মধ্যে ১৫৫। ভারতেরও পরে, সবচেয়ে নীচে রয়েছে চিন। সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, সার্বিক ভাবে বিশ্ব জুড়ে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নেই পুরুষ-মহিলা ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। ভারতের স্থান এই নিরিখেও ২০১৯-এর চেয়ে ২০২১-এ পিছিয়েছে। কিন্তু তবু অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভাল। এই সারণিতে ভারতের স্থান ৫১। শিক্ষা-সারণিতে ভারত ১১৪।