ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে একটি বিশেষ সম্প্রদায় সেখানকার সংখ্যালঘুদের উপর নিয়মিত অত্যাচার করে চলেছে বলে অভিযোগ করে রাষ্ট্রপুঞ্জে সরব হল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি বৈঠকে এই প্রথম কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এ ভাবে অভিযোগ আনল মোদী সরকার।
দু’দিন আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘থার্ড কমিটি’তে পেশ করা একটি রিপোর্টে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে বলতে উঠে ভারতীয় কূটনৈতিক কর্তা অভূতপূর্ব ভাবে একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসে মদত দেওয়া অথবা সে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে। বরাবর দোষারোপ করা হয়েছে রাষ্ট্রকে, বড়জোর কট্টরবাদকে। কিন্তু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নির্দিষ্ট করে এ ভাবে আক্রমণ করার ঘটনা বিদেশনীতিতে প্রথম বলেই জানাচ্ছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রপুঞ্জের থার্ড কমিটি, সামাজিক, মানবিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলির উপর কাজ করে। সেখানে সম্প্রতি যে বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাতে সিএএ-র পরিপ্রেক্ষিতে মোদী সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সংশ্লিষ্ট প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেই বিষয়টি রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার এমন ভাবে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি এনেছে, যাতে সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন।’
আরও পড়ুন: বিহার জয়ে টিকা-টোপ বিজেপির
এই রিপোর্ট সংক্রান্ত শুনানি বৈঠকেই রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কর্তা বলেন, ‘রিপোর্টটি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের কোলে ঝোল টেনে তৈরি করা হয়েছে। এই সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে সংখ্যালঘুদের সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। কখনও তারা জোর করে ধর্মান্তরিত করছে। কখনও ফতোয়া দিচ্ছে সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থান নিয়ে।’