ভারতের দুই ভয়ঙ্কর অস্ত্র— পৃথ্বী ও অগ্নি-১। —ফাইল চিত্র।
চাইলে এখনই ২০০০ পরমাণু বোমা বানাতে পারে ভারত! সঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত দূরপাল্লা এবং মাঝারি পাল্লার অগুনতি ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র। খবর পেয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা। গোপন রিপোর্ট দেখেই কেঁপে গিয়েছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছেন সে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক কর্তৃপক্ষ। তবে, নয়াদিল্লির এই বিপুল সমরসজ্জার মোকাবিলা কোন পথে, ভাবতে গিয়ে পাক সামরিক কর্তাদের রাতের ঘুম এখন উধাও।
পাকিস্তানের সামরিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া অধিকারী সংস্থা হল ন্যাশনাল কম্যান্ড অথরিটি বা এনসিএ। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সভাপতিত্বে এনসিএ বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে। ভারতের অস্ত্রাগার প্রচুর পরমাণু বোমা এবং বিভিন্ন ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্রের বিপুল সম্ভারে সেজে উঠেছে বলে খবর পেয়েছেন সে দেশের গোয়েন্দারা। তার প্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠক। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অভ্যন্তরীণমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশ উপদেষ্টা এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা বৈঠকে হাজির ছিলেন। ভারতের সামরিক শক্তিতে বিপুল বাড়বাড়ন্তের খবর তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। ইসলামাবাদের কাছে খবর, ভারতের হাতে পরমাণু বোমা তৈরির জন্য প্রায় এক টন প্লুটোনিয়াম রয়েছে। রিঅ্যাক্টর গ্রেড প্লুটোনিয়াম রয়েছে আরও ১৫ টন। পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বিপুল হারে বাড়ানোর জন্যই ভারত এত প্লুটোনিয়াম মজুত করেছে বলে পাকিস্তানের আশঙ্কা। শুধু বোমা নয়, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতেও ভারত অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে পাক সরকারকে খবর দিয়েছে সে দেশের গুপ্তচরেরা। বৈঠকে পেশ হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের হাতে কত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই। সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপাণাস্ত্রও ভারত বানিয়ে ফেলেছে। তৈরি করেছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিরোধ ব্যবস্থাও। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ভারতের নতুন সমর কৌশল নিয়ে। ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’ নামে সেই যুদ্ধ পদ্ধতি পাকিস্তানের পক্ষে ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে ইসলামাবাদ মনে করছে।
বৈঠকে তাই স্থির হয়েছে, ভারতের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির মোকাবিলায় পাকিস্তানকেও কৌশল তৈরি রাখতে হবে। মোদ্দা কথা, পাকিস্তান আরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে।
কিছু দিন আগে প্রকাশিত একটি মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান যে ভাবে পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে, তাতে ১০ বছরের মধ্যেই তাদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার হয়ে উঠবে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ছিলই। কিন্তু, ভারতের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পাকিস্তান এখন নিজেই প্রবল উদ্বেগে।