গুলি করে নামানো ড্রোন। ফাইল চিত্র।
ড্রোনের মাধ্যমে হামলা ও অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টার কড়া প্রতিবাদ জানাল ভারত। গত কাল ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ভারতের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
গত কাল জম্মুর সুচেতগড় সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বৈঠকে বসেন বিএসএফ ও পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর সেক্টর কমান্ডারেরা। বিএসএফের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিআইজি সুরজিৎ সিংহ। রেঞ্জার্সের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার মুরাদ হুসেন। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে দু’দেশের সেনার ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করার পরে এই প্রথম বৈঠকে বসল দু’দেশের বাহিনী। পাকিস্তানের অনুরোধেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বিএসএফ জানিয়েছে, ড্রোন হামলা ও তার মাধ্যমে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা, জঙ্গি কার্যকলাপে পাক মদত, সীমান্তে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার চেষ্টার মতো বিষয়গুলি নিয়ে সরব হয়েছে তারা। পাশাপাশি দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে ফিল্ড কমান্ডার স্তরে যোগাযোগ ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
জম্মু বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পরে বেশ কয়েক বার ওই এলাকায় ড্রোন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কানাচক এলাকায় একটি ড্রোন গুলি করে নামায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আজ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিংহ বলেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতি থাকলেও পাকিস্তানি রাষ্ট্রের কিছু শক্তি যে এখনও জঙ্গিদের সাহায্য করছে তা ওই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। আমাদের ধারণা, বৃহস্পতিবার ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক পাঠিয়ে জম্মুর কোনও জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’’
দিলবাগের মতে, উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠনগুলির সহযোগীদের বেশ কয়েকটি মডিউল ভেঙে দিয়েছে বাহিনী। তাই লস্কর ই তইবা ও জইশ ই মহম্মদের জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র ও নগদের অভাব দেখা দিয়েছে। সে জন্য সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্রশস্ত্র, টাকা পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘২৭ জুন জম্মু বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হানায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তা পাক অস্ত্র কারখানায় তৈরি।’’ দিলবাগের দাবি, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের ব্যবহার শুরু হয়। প্রথমে তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পরে ভারতীয় বাহিনী উপযুক্ত পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।